"মোদীর (প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী) পুঁজিপতি বন্ধুরা লুটপাট নিরবিচ্ছিন্নভাবেই চালিয়ে যাচ্ছেন। দরিদ্রদের নগদ স্থানান্তর এবং বিনামূল্যে খাবার দিতে অস্বীকার করেছে এই সরকার। আমাদের অন্নদাতাদেরও নির্মমভাবে দমন করা হচ্ছে। কিন্তু পুঁজিপতিদের দ্বারা জনগণের সঞ্চয় লুট অব্যাহত রয়েছে।" সম্প্রতি RBI-এর দেওয়া এক RTI-এর উত্তরের প্রতিক্রিয়ায় কেন্দ্র সরকারকে আক্রমণ করে এই ট্যুইট করেছেন সিপিআইএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি।
এদিন সীতারাম ইয়েচুরি তাঁর ট্যুইটের সঙ্গে ইকনমিক টাইমসের এক প্রতিবেদনের অংশ যুক্ত করেছেন। যে প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০২০ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত দেশের শীর্ষ ১০০ জন ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপির প্রায় ৬২ হাজার কোটি টাকা ঋণ মকুব করা হয়েছে। ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত ঋণ মকুব করা হয়েছিলো ৫৮,৩৭৫ কোটি টাকা।
এই তালিকায় রয়েছে মেহুল চোকসির গীতাঞ্জলি জেমস, যতীন মেহতার উইনসোম ডায়মন্ডস এবং জুয়েলারী, বিজয় মালিয়ার কিংফিশার। বিশ্বনাথ গোস্বামী নামে এক আরটিআই কর্মীর আরটিআইয়ের জবাবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া একথা জানিয়েছে।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই তালিকায় শীর্ষে রয়েছে উইনসোম ডায়মন্ডস এবং জুয়েলারী। এদের ৩,০৯৮ কোটি টাকা রোট অফ (wrote off) করা হয়েছে। বাসমতি চাল প্রস্তুতকারী কোম্পানি আরইআই অ্যাগ্রোর ২,৭৮৯ কোটি টাকা, রাসায়নিক কোম্পানি কুদোস চেমি (Kudos Chemie)-র ১,৯৭৯ কোটি টাকা, নির্মাণ সংস্থা জুম ডেভেলপারদের ১,৯২৭ কোটি টাকা, শিপ বিল্ডিং সংস্থা এবিজি শিপইয়ার্ডের ১,৮৭৫ কোটি টাকা রোট অফ করা হয়েছে।
বিজয় মালিয়ার কিংফিশার এয়ারলাইন্সের জন্য ১,৩১৪ কোটি টাকা রোট অফ করা হয়েছে। মেহুল চোকসির গীতাঞ্জলি জেমস, যাদের ৫,০৭১ কোটি টাকার এনপিএ (Non-performing assets) রয়েছে, বিভিন্ন ব্যাঙ্ক এই কোম্পানির ৬২২ কোটি টাকা রোট অফ করেছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন