দেশের সংবিধানের প্রস্তাবনা থেকে ‘সোশ্যালিস্ট’ এবং ‘সেকুলার’ শব্দ দুটি বাদ দেবার দাবীতে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানালেন আইনজীবী বলরাম সিং, করুণেশ কুমার শুক্লা এবং প্রবেশ কুমার নামক এক ব্যক্তি। ১৯৭৬ সালে ধারা ২(এ) অনুসারে ৪২ তম সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে এই দুটি শব্দ যুক্ত করা হয়েছিলো।
এদিন শীর্ষ আদালতের কাছে করা এই আবেদনে বলা হয় এই দুটি শব্দের সংযোজন সাংবিধানিক তত্বের পাশাপাশি ভারতের ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিক ভাবধারার পরিপন্থী। এই সংযোজনকে অবৈধ দাবী করে বলা হয়েছে – সংবিধানের ১৯(১)(এ) ধারায় যে বাক স্বাধীনতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার কথা এবং ধারা ২৫ অনুসারে যে ধর্মীয় স্বাধীনতার বলা আছে তার পরিপন্থী।
ওই আবেদনে আরও বলা হয়, এই সংযোজন শতাব্দী প্রাচীন ভারতের ইতিহাস এবং সংস্কৃতির সঙ্গে মানানসই নয়। ভারতীয় ভাবধারা, ধর্মীয় অনুভুতি এবং আর্থ সামাজিক অবস্থার সঙ্গে কমিউনিস্ট তত্ত্বও কোনোভাবেই যায় না। তাঁদের মতে কার্ল মার্কস-এর প্রভাবেই ‘সোশ্যালিস্ট’ এবং ‘সেকুলার’ শব্দগুলি যুক্ত করা হয়েছে।
আবেদনকারীদের পক্ষে শীর্ষ আদালতের কাছে এই আবেদন জমা দিয়েছেন বিচারপতি বিষ্ণু শঙ্কর জৈন। এর সঙ্গেই জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ২৯এ(৫) ধারা অনুসারে দেশের সমস্ত রাজনৈতিক দলকে যে ‘সেকুলার’ এবং ‘সোশ্যালিস্ট’ শব্দ ব্যবহার করতে হয় তাকেও চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, এবারই প্রথম নয়। এর আগেও সংবিধান থেকে ‘সোশ্যালিস্ট’ এবং ‘সেকুলার’ শব্দ দুটি বাদ দেবার দাবী জানানো হয়েছিলো ২০১৬ সালে। সেবার এলাহাবাদ হাইকোর্ট এই দুটি শব্দের অন্তর্ভুক্তিকে সমর্থন জানায়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন