করোনার কারণে স্কুলছুট দেশের লাখো পড়ুয়া। পড়াশোনা ছেড়ে চাষের জমিতে বা কারখানায় কাজে যোগ দিতে বাধ্য হয়েছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বহু পড়ুয়া। বহুল পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে শিশুশ্রম। যা বিশ্বের অন্যতম সমস্যার মধ্যে একটি।
সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে এই ছবি উঠে এসেছে। তেলেঙ্গানা, বিহার, উত্তরপ্রদেশে প্রভৃতি রাজ্যে একই ছবি। পড়াশুনা বন্ধ হয়ে গেছে বহু শিশুর। লকডাউনে একদিকে যেমন বহু মানুষ কাজ হারিয়েছেন তেমনই পরিবারের অনিশ্চিত ভবিষ্যতের সামনে পড়াশুনা ছাড়তে বাধ্য হয়েছে বহু শিশু। কোনো কোনো পরিবারে লকডাউনের কারণে পরিচারিকার কাজ হারিয়েছেন তার মা ও বড় বোন। লকডাউনের সময় পেট চালানোর জন্য পড়া ছেড়ে মাঠে মায়ের সঙ্গে কাজে যেতে বাধ্য হয়েছে বহু শিশু। প্রচণ্ড রোদে কাজ করার অভ্যাস নেই, কিন্তু খাদ্যসামগ্রী কেনার জন্য তাকে কাজ করতেই হচ্ছে। বহু পড়ুয়াই এই মহামারীর প্রভাবের সরাসরি শিকার হচ্ছে। সমাজকর্মী সদস্যরা এরকম অনেককে উদ্ধার করে নিয়ে আসলেও বহু শহরে পরিযায়ী শ্রমিকের অভাবে জোর করে এইসব অল্প বয়সী পড়ুয়াদের কাজে লাগানো হচ্ছে।
কোভিড সংক্রমণ শুরু হওয়ার আগে দেশে স্কুলগুলোতে পড়ুয়াদের এমনিতেই আটকে রাখায় অনেক সমস্যা দেখা দিয়েছিল। ২০১৮ সালের একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছিল ৫৬ মিলিয়নের বেশি পড়ুয়া স্কুলছুট। যা বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপিন্স, থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনামের থেকে বেশি। যে সব পড়ুয়ারা স্কুলে যায়না, তার মধ্যে ১০.১ মিলিয়ন পড়ুয়া হয় শ্রমিক বা প্রান্তিক চাষি হিসেবে কাজ করছে বলে উল্লেখ করেছে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন