করোনা-কালে বাড়িতে বসেই পড়াশোনার পাঠ চলছে। এর মধ্যে মাত্র ২৪ শতাংশ পরিবারই ই-এডুকেশনের জন্য ইন্টারনেট পরিষেবা পাচ্ছে। গ্রামীণ ও কম আয়ের পরিবারগুলো এই পরিষেবা থেকে একেবারেই বঞ্চিত থেকে গিয়েছে। ইউনিসেফের নতুন রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর এই তথ্য উঠে এসেছে।
বৃহস্পতিবার ইউনিসেফের দ্য রিমোট লার্নিং রিচেবিলিটি রিপোর্টে এই তথ্য উঠে এসেছে। রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল পরিবারের পড়ুয়াদের ইন্টারনেটে পরিষেবা পেতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হচ্ছে। রিপোর্টে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, বিশেষ করে দরিদ্র পরিবারের মেয়েরা সহজে স্মার্টফোন হাতে পায় না। যদিও বা স্মার্টফোন থাকে ইন্টারনেট পরিষেবা থাকে না বললেই চলে। তাও কখনও জোগাড় করা সম্ভব হলেও পাঠ্যবিষয় স্থানীয় ভাষায় পাওয়া যায় না।
করোনা মহামারীকালে ভারতে ১৫ লাখের বেশি স্কুল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এর ফলে প্রি-প্রাইমারি থেকে সেকেন্ডারি পর্যায়ের ২৮.৬ কোটি পড়ুয়ার পড়াশোনা প্রভাবিত হয়েছে। যার মধ্যে ৬০ লাখ ছেলে-মেয়ে স্কুলছুট হয়েছে বলেও রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
বাড়িতে বসে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য কেন্দ্র ও রাজ্য ডিজিটাল ও নন-ডিজিটাল পদ্ধতিতে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার সবরকম ব্যবস্থা করেছে। ভারতে ইউনিসেফের প্রতিনিধি ইয়াসমিন আলি হক জানিয়েছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে বিভিন্ন ব্যবস্থা করা হয়েছে পড়ুয়াদের কাছে পৌঁছনোর জন্য। যে কোনও সংকটকালে পিছিয়ে পড়ারাই সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলেও তিনি উল্লেখ করেন। এইসব পড়ুয়াদের পড়াশোনাতেই সবথেকে বেশি ঘাটতি দেখা যায়।ইউনিসেফের এই নতুন রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, বিশ্বজুড়ে ৪৬.৩ কোটি প্রত্যন্ত এলাকার পড়ুয়ারা কোভিড পরিস্থিতিতে পড়াশোনার সুযোগ থেকে বঞ্চিত থেকে গিয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন