দেশের মধ্যে সাক্ষরতার হারে সবথেকে এগিয়ে কেরল। ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিকাল অফিসের এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে কেরলে ৯৬.২ শতাংশ মানুষ সাক্ষর। অন্যদিকে, সাক্ষরতার দিক থেকে একদম নিচের দিকে অবস্থান করছে অন্ধ্রপ্রদেশ। এখানে সাক্ষরতার হার ৬৬.৪ শতাংশ। কেরলের পর সাক্ষরতার দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছে দিল্লি। এখানে সাক্ষরতার হার ৮৮.৭ শতাংশ। তারপর রয়েছে উত্তরাখন্ড। উত্তরাখন্ডের এই হার ৮৭.৬ শতাংশ।
কেরল, দিল্লি, উত্তরাখণ্ডের পর এই তালিকায় আছে হিমাচল প্রদেশ ও আসাম। হিমাচল প্রদেশের সাক্ষরতার হার ৮৬.৬ শতাংশ। আসামে সাক্ষরতার হার ৮৫.৯ শতাংশ। অন্যদিকে সাক্ষরতা সবথেকে কম অন্ধ্রপ্রদেশে। এই তালিকায় একদম শেষের পাঁচ রাজ্যের মধ্যে আছে উত্তরপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, বিহার, রাজস্থান এবং অন্ধ্রপ্রদেশ।
রাজস্থানের সাক্ষরতার হার ৬৯.৭ শতাংশ। বিহারে সাক্ষরতার হার ৭০.৯ শতাংশ। তেলেঙ্গানায় সাক্ষরতার হার ৭২.৮ শতাংশ। উত্তরপ্রদেশের সাক্ষরতার হার ৭৩ শতাংশ। মধ্যপ্রদেশের সাক্ষরতার হার ৭৩.৭ শতাংশ।
সমীক্ষায় দেশের সার্বিক শিক্ষার হার হিসেবে দেখা গিয়েছে গ্রামাঞ্চলের শিক্ষার হার ৭৭.৭ শতাংশ। এক্ষেত্রে শহরাঞ্চলে সাক্ষরতার হার ৭৩.৫ থেকে ৮৭.৭ শতাংশ। সমীক্ষায় জানা গেছে গোটা দেশে শিক্ষায় পুরুষরা এগিয়ে রয়েছে। তাদের শিক্ষার হার ৮৪.৭, এই ক্ষেত্রে মেয়েদের শিক্ষার হার ৭০.৩।
দেশের প্রত্যেকটি রাজ্যে সাক্ষরতার দিক থেকে মেয়েদের থেকে এগিয়ে রয়েছে ছেলেরা। কেরলের মধ্য সবচেয়ে শিক্ষিত রাজ্যেও বিষয়টি পরিলক্ষিত হয়েছে। কেরলে যেখানে মেয়েদের সাক্ষরতার হার ৯৫.২ শতাংশ, সেখানে পুরুষদের সাক্ষরতার হার ৯৭.৪ শতাংশ। এ রকমই প্রতিটি রাজ্যে পুরুষ ও মহিলাদের মধ্যে সাক্ষরতার পার্থক্য রয়েছে।
একই সঙ্গে অন্য একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে দেশের গ্রামে মাত্র ৪% বাড়িতে এবং শহরাঞ্চলে ২৩% বাড়িতে কম্পিউটার আছে। ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সীদের মধ্যে গ্রামীণ এলাকায় ২৪% এবং শহরাঞ্চলে ৫৬% কম্পিউটার চালাতে সক্ষম।
১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সীদের মধ্যে ৩৫% ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। যার মধ্যে গ্রামীণ এলাকায় এই হার ২৫ শতাংশ এবং শহরাঞ্চলে ৫৮%।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন