করোনা মহামারীর আবহে বাড়ছে শিশু শ্রমিকের সংখ্যা - সমীক্ষা

ছবি প্রতীকী সংগৃহীত
ছবি প্রতীকী সংগৃহীত
Published on

৫ থেকে ১৪ বছর বয়েসর মধ্যে ১০ মিলিয়নের বেশি শিশু একপ্রকার বাধ্য হয়েই কারখানায় কাজ করছে। শুধু তাই নয় কেউ রেস্টুরেন্টের টেবিল পরিষ্কারের কাজে কেউ জুতো পালিশের কাজে কিংবা কোনো দোকানে যথেষ্ট কম টাকায় কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে।

করোনা মহামারীর কারণে এই সংখ্যা অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানাচ্ছে- “বাচপন বাঁচাও আন্দোলন” নামের এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। এই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা কৈলাশ সত্যার্থী ১৯৯০-এর দশক থেকে ভারতে শিশু শ্রমের বিরুদ্ধে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন। তার সংগঠন বাচপান বাঁচাও আন্দোলন অক্টোবর, ২০১৪ সাল পর্যন্ত আশি হাজারেরও অধিক শিশুকে ক্রীতদাসত্বের বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে মুক্ত করেছে। সম্প্রতি তিনি এই কৃতিত্বের জন্য নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন।

আইন অনুযায়ী ১৪ বছরের নীচে শিশুশ্রমিক বেআইনি। সেক্ষেত্রে দোষীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে পারে পুলিশ। কিন্তু আইন ও বাস্তবের মধ্যে ফারাক আকাশ-পাতাল। অনেক সময় স্বেচ্ছাসেবকরা শিশু শ্রমিকদের উদ্ধার করলেও আর্থিক অবস্থার কারনে পুনরায় কাজে পাঠাতে বাধ্য হয়।

দিল্লি পুলিশের সহযোগিতায় “বচপন বাঁচাও আন্দোলন” লকডাউন পরবর্তী সময়ে প্রায় ১২০০ শিশু শ্রমিককে উদ্ধার করেছে। কিন্তু তাদের বেশিরভাগই কাজে ফিরে গেছে পরিবারের আর্থিক সমস্যার জন্য।

পরিচয় জানাতে অনিচ্ছুক এক শিশু শ্রমিকের কোথায়-“গ্রামের অবস্থা ক্রমশই খারাপ হচ্ছে। রোজগার নেই বললেই চলে। তাই পরিবারের সবাইকেই কাজ করে বাঁচতে হবে”।

দারিদ্র্যের তাড়নায় খুবই কম টাকায় ঘন্টার পর ঘন্টা কাজ করে চলে ভারতের ১০ মিলিয়নেরও বেশি শিশু শ্রমিক। সংখ্যাটা ক্রমবর্ধমান।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in