বস্ত্র শিল্পে মহিলাদের অবস্থা এমনিতেই ভেদাভেদের কারণে এমনিতেই খারাপ। তারওপর কোভিড ১৯ পরিস্থিতিতে তাঁদের অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে। সম্প্রতি ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন (আইএলও) একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে এমনটাই জানিয়েছে। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, বস্ত্র শিল্পের ক্ষেত্রে মহিলাদের হেনস্থা, নিজেদের মতামত ব্যক্ত করা, বেতনে ফারাক ব্যাপক পরিমাণে দেখা গিয়েছে। তারওপর, পরিবারের তরফেও মহিলাদের কাজে এগিয়ে আসার ক্ষেত্রে বাধার সৃষ্টি করা হয়েছে।
জেন্ডারড ইম্প্যাক্ট অফ কোভিড ১৯ অন দ্য গার্মেন্ট সেক্টর শীর্ষক এই রিপোর্টটিতে দেখানো হয়েছে, কীভাবে মহামারীকালে বস্ত্র শিল্পে মহিলা ও পুরুষদের উপর প্রভাব সৃষ্টি হয়েছে। যেখানে মহিলাদের বেশি কাজে লাগানো হয়েছে।
আইএলও-র রিজিওনাল অফিস ফর এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিকের সিনিয়র জেন্ডার স্পেশ্যালিস্ট জনি সিম্পসন জানিয়েছেন, বস্ত্র শিল্পে কর্মীদের মধ্যে ৮০ শতাংশই মহিলা। সুতরাং, মহামারীকালে সবথেকে বেশি প্রভাব তাঁদের উপরই পড়েছে। পাশাপাশি নিজেদের বাড়িতেও নানারকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে মহিলাদের। ক্রেতা ও সরবরাহকারীরা অর্থনৈতিক কারণে ঠিকভাবে ব্যবসা করতে পারেননি। এর ফলে বহু কোটি টাকার অর্ডার বাতিল হয়েছে। পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ৭০ শতাংশ ঘাটতি হয়েছে এই সময়ে। বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া, মিশর, ইথিওপিয়া, হাইতি এবং আরও অনেক জায়গার অর্ডার বাতিল হয়ে গিয়েছে। বেতন ছাড়াই অনেকেই নিজেদের কাজ শেষ করে ফেলেছেন।
রিপোর্টের অন্য ভাগে দেখানো হয়েছে, ন্যূনতম চাহিদাও পূরণ করতে না পারার কারণে মহিলাদের উপর প্রভাব আরও বেশি পড়েছে। পুরুষ-মহিলা উভয়ক্ষেত্রেই প্রভাব পড়লেও মহিলাদের উপর সবথেকে বঞ্চিত করে রাখার কারণে ক্ষতিকর প্রভাবের পরিমাণটা বেশি সইতে হচ্ছে তাঁদেরই।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন