Kashmir: মেয়েদের 'মার্শাল আর্ট' শেখাতে নিয়ে যেতেন, গিয়ে নিজেও শিখলেন - জিতলেন পদক

তিনি বলেন, আমাকে প্রতিদিন মার্শাল আর্ট ক্লাসে বসে থাকতে দেখে কোচ বলেন আমাকেও ট্রেনিং দেবেন। প্রথমে ভেবেছিলাম আমি পারব না। তবে আমার মেয়েরা সাহস দিয়েছিল। আমার স্বামীও পাশে ছিল।
দিলশাদা ফাইয়াজ
দিলশাদা ফাইয়াজগ্রাফিক্স - সুমিত্রা নন্দন
Published on

ঠিক যেন রুপোলি পর্দার গল্প। বাস্তবেও যে এমনটা হতে পারে তা প্রমাণ করলেন এক লড়াকু মা। মেয়েদের শেখাতে নিয়ে যেতেন মার্শাল আর্ট। সেখান থেকে শিখে এখন নিজেই পদক জয়ী।

ঘটনাটি ঘটেছে কাশ্মীরে। দিলশাদা ফাইয়াজ থাকতেন পশ্চিমবঙ্গে। ২০১১ সালে কাশ্মীরের এক যুবকের সাথে তাঁর বিয়ে হয়। তারপর থেকে তিনি কাশ্মীরেই থাকতে শুরু করেন। তাঁর দুই মেয়েকে নিয়ে কাশ্মীরেই একটি মার্শাল আর্ট ট্রেনিং সেন্টারে যেতেন। মেয়েরা শিখত, তিনি বসে বসে দেখতেন। মেয়েদের ট্রেনারের কথায় শ্রীনগরে একটি মার্শাল আর্ট প্রতিযোগিতায় নাম দিয়েই বাজিমাত। জিতে নিলেন রুপোর পদক।

এক সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, আমাকে প্রতিদিন মার্শাল আর্ট ক্লাসে বসে থাকতে দেখে কোচ বলেন আমাকেও ট্রেনিং দেবেন। প্রথমে ভেবেছিলাম আমি পারব না। তবে আমার মেয়েরা সাহস দিয়েছিল। আমার স্বামীও পাশে ছিল। স্বামীর ব্যবসায় সাহায্য করা, পরিবারের কাজকর্মের পাশাপাশি ২০১৯ থেকে  মেয়েদের সাথে আমি প্র্যাকটিস করতে থাকি। মাঝের দু’বছর করোনার জন্য বন্ধ ছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর পুনরায় প্র্যাকটিস শুরু করি।

এছাড়াও তিনি বলেন, এই ম্যাচটাই আমার জীবনে প্রথম। একটু ভয় করছিল, কিন্তু ভয়কে জয় করতে সক্ষম হয়েছি। আর আমি মনে করি বিয়ে মানেই মেয়েদের জীবন শেষ নয়। নিজের স্বপ্নগুলোকে সত্যি করার লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। পাশাপাশি আমি চাই আমার মেয়েরাও নিজেদের জীবনে সাফল্য অর্জন করুক। মেয়েরা শুধু খেলাতেই নয় পড়াশোনাতেও যাতে এগিয়ে যায় সব রকম চেষ্টা করব।

দিলশাদা ফাইয়াজ
Electoral Bond: দুয়ারে হিমাচল-গুজরাট নির্বাচন, ইলেক্টোরাল বন্ড বিক্রির নতুন বিজ্ঞপ্তি কেন্দ্রের

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in