দরপত্র জেতা বিমানবন্দরগুলির সম্পদের জন্য চূড়ান্ত চুক্তিপত্রে উল্লেখিত অর্থের তুলনায় অনেক কম অর্থ দিয়েছে আদানি গোষ্ঠী। এমনটাই অভিযোগ এয়ারপোর্ট অথরিটি এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন (AAEU)-এর। দ্য নিউজ মিনিটে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী এয়ারপোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার দরপত্রের ডকুমেন্ট থেকে এই তথ্য জানতে পেরেছে AAEU।
২০১৮ সালে ছ'টি বিমানবন্দরকে বেসরকারিকরণের জন্য বেছে নেয় কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণাধীন এয়ারপোর্টস অথরিটি অব ইন্ডিয়া বা AAI। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ছ'টি বিমানবন্দরেরই দরপত্র জিতে নেয় আদানি গোষ্ঠী। ম্যাঙ্গালুরু, আহমেদাবাদ এবং লখনৌ বিমানবন্দর আগেই হস্তান্তর করে দেওয়া হয়েছে আদানির হাতে। এই মাসে তিরুঅনন্তপুরম এবং জয়পুর বিমানবন্দর দখল করতে পারে কোম্পানিটি বলে জানা গেছে।
প্রধানমন্ত্রীকে লেখা একটি চিঠিতে AAEU জানিয়েছে, দরপত্রের ডকুমেন্ট অনুযায়ী তিন বিমানবন্দরের বর্তমান সম্পদের জন্য চূড়ান্ত চুক্তিপত্রে ১,৩৩০ কোটি টাকা ধার্য্য করেছে এয়ারপোর্ট অথরিটি। কিন্তু আদানি শেষ পর্যন্ত মাত্র ৪৯৯.৮৪ কোটি টাকা দিয়েছে। পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ অ্যাপ্রাইজাল কমিটি (PPPAC)-র অনুমোদনের পরই বিমানবন্দর সম্পদের জন্য ১,৩৩০ কোটি টাকা মূল্য ধার্য্য করা হয়েছিল। প্রসঙ্গত, PPPAC একটি কেন্দ্রীয় কমিটি যা পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ প্রকল্পগুলি দেখাশোনা করে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, দরপত্রের চুক্তি অনুযায়ী ম্যাঙ্গালোর বিমানবন্দরের জন্য আদানিকে দিতে হবে ৩৬৩ কোটি টাকা, লখনৌ বিমানবন্দরের জন্য দিতে হবে ৫৮৩ কোটি টাকা এবং আহমেদাবাদ বিমানবন্দরের জন্য দিতে হবে ৩৮৪ কোটি টাকা। কিন্তু ম্যাঙ্গালোর বিমানবন্দরের জন্য আদানি গোষ্ঠী শেষ পর্যন্ত দিয়েছে ৭৪.৫ কোটি টাকা, যা ধার্য্যমূল্যের চেয়ে ২৮৮.৫ কোটি টাকা কম। লখনৌ বিমানবন্দরের জন্য আদানি দিয়েছে ১৪৭.৯৩ কোটি টাকা (৪৩৫.০৭ কোটি টাকা কম) এবং আহমেদাবাদ বিমানবন্দরের জন্য দিয়েছে ২৭৭.৪১ কোটি টাকা (১০৬.৫৯ কোটি টাকা কম)।
AAEU-র অভিযোগ, মাত্রাহীন-অযৌক্তিক সুবিধা দেওয়া হয়েছে আদানি গোষ্ঠীকে। প্রকল্পের উদ্দেশ্য, প্রকল্পের খরচ, মিনিমাম রিজার্ভ মূল্য, বিদ্যমান সম্পদের ন্যায্যমূল্য সহ প্রকল্পের সমস্ত প্যারামিটার না নির্ধারিত হয়েছে না দরপত্রের নথিতে প্রকাশিত হয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন