বেশি লাভের আশায় মুকেশ আম্বানীর সঙ্গে প্রতিযোগিতা শুরু করেছেন গৌতম আদানি। ব্যবসায় মুকেশকে টেক্কা দিতে মিডিয়াসহ একাধিক নতুন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করছেন তিনি। আর তা নিয়ে বাণিজ্য মহলে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
কেননা, এই বিনিয়োগ নিজের পকেট থেকে করছেন না আদানি। মাত্রাতিরিক্ত ব্যাঙ্ক ঋণের দিকে ঝুঁকেছেন তিনি। যা, আগামীতে ভারতীয় অর্থনীতিতে ‘অস্থিরতা’ তৈরি করতে পারে বলে মনে করছে- ব্যবসায়িক মূল্যায়ন সংস্থা ক্রেডিটসাইটস (CreditSights)।
আদানি গ্রুপ: ডিপলি ওভারলেভারেজড (Adani Group: Deeply Overleveraged) শীর্ষক এক প্রতিবেদনে ক্রেডিটসাইটস জানিয়েছে, অতিরিক্ত পুঁজির প্রয়োজনে ঋণ নির্ভরতা বৃদ্ধি পাওয়ায় ধারের প্রবল চাপ তৈরি হয়েছে আদানিদের উপর।
সংবাদ সংস্থা PTI জানিয়েছে, গত দুই বছরে আদানি গোষ্ঠীর ঋণের পরিমাণ বিপুল পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২১-২২ আর্থিক বছরের শেষে আদানি গ্রুপের ছয়টি তালিকাভুক্ত সংস্থার মোট ঋণ দাঁড়িয়েছে ২.৩০ লক্ষ কোটি টাকা। গত বছর এই ঋণের পরিমাণ ছিল ১.৫৭ লক্ষ কোটি টাকা।
আশির দশকে হীরা কেনাবেচার জন্য ‘দালালি সংস্থা’ খোলার পর, পণ্য লেনদেনের ব্যবসা দিয়ে শিল্প জগতে প্রবেশ করেন গৌতম আদানি। তারপর, খনি, বন্দর, বিদ্যুৎ এবং উড়ান ব্যবসায় বিনিয়োগ করেন তিনি। সম্প্রতি তামা শোধন, পেট্রোকেমিক্যালস, অ্যালুমিনিয়াম উৎপাদন ব্যবসায় পুঁজি ঢেলেছে তাঁর সংস্থা। মিডিয়া ক্ষেত্রেও নতুন করে বিনিয়োগ করতে চলেছে আদানি গ্রুপ। যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
ক্রেডিটসাইটস জানিয়েছে, এগুলির মধ্যে এমনও ব্যবসা রয়েছে, যেগুলি প্রবল ভাবে পুঁজি নির্ভর এবং শুরু থেকেই আয়ের দরজা খুলবে না। আগামী কয়েক বছর ঢেলে যেতে হবে পুঁজি। আর তার জন্য নির্ভর করতে হবে ব্যাঙ্ক এবং শেয়ার বাজারের উপর। আর এর ফলে ঋণের চাপ আরও বাড়বে।
ক্রেডিটসাইটসের প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, 'ব্যবসা বাড়ানোর জন্য অতিরিক্ত ঋণ নির্ভরতা বড় ঋণের ফাঁদ তৈরি করতে পারে। আর সত্যিই তা হলে, গোষ্ঠীর এক বা একাধিক সংস্থার রুগ্ণ হওয়া বা দেউলিয়া হয়ে পড়ার আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।'
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন