মাত্র দু’দিন আগেই দীর্ঘ ২০ বছরের যুদ্ধ শেষে আফগানিস্তান ছেড়ে দেশের পথে পাড়ি দিয়েছে আমেরিকান বাহিনী। ২০০১ সালের ৯/১১ হামলার পরে সন্ত্রাস দমনের নামে ঢুকে পড়া আমেরিকান বাহিনী প্রেসিডেন্ট জো বিডেনের ঘোষণা মেনে আফগানিস্তান ছেড়েছে সোমবার ৩০ আগস্ট। তালিবানি দখলদারি এবং আমেরিকার আফগানিস্তান ছাড়া – দুই ঘটনার ব্যবধান মাত্র ১৫ দিনের।
২০০১-এর ১১ সেপ্টেম্বর-এর সন্ত্রাসবাদী হামলায় নিউইয়র্ক সিটি, ওয়াশিংটন, পেনসিলভানিয়াতে মৃত্যু হয়েছিলো প্রায় ৩০০০ জনের। ১৮ সেপ্টেম্বর আমেরিকার পক্ষ থেকে এই হামলায় যুক্ত সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীকে শেষ করার শপথ নেওয়া হয়। সেই শুরু। এরপর সময় পেরিয়েছে হাতে গুণে ২০ বছর। এই ২০ বছরে আফগানিস্তানে মৃত্যু হয়েছে ২৪০০-র বেশি আমেরিকান সৈনিকের।
তালিবানিদের দখলদারি এবং আমেরিকার আফগানিস্তান ছেড়ে যাওয়া – এই দুই ঘটনার মধ্যবর্তী ১৫ দিনে বিভিন্ন ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ১৩ জন আমেরিকান সৈন্যের এবং ১৬৯ জন আফগান নাগরিকের।
শেষ ২০ বছরে আফগানিস্তানে মৃত্যু হয়েছে ১,৭১,০০০ থেকে ১,৭৪,০০০ মানুষের।
আফগানিস্তানে যুদ্ধ জারি রাখতে আমেরিকা খরচ করেছে ২,৩১৩ ট্রিলিয়ন ইউ এস ডলার।
মৃত্যু হয়েছে ২,৪৬১ জন আমেরিকান সৈন্যের।
আমেরিকান বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত ৩,৮৪৬ জন আমেরিকান কন্ট্রাকটরের মৃত্যু হয়েছে।
এই ২০ বছরে মারা গেছে ৬৬ হাজার আফগান মিলিটারি ও পুলিশ।
৪৭,২৪৫ জন সাধারণ আফগান নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে।
আমেরিকার পক্ষ থেকে সেক্রেটারি অফ স্টেট অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন জানিয়েছেন প্রায় ১০০-র বেশি আমেরিকান এখনও আফগানিস্তানে আছে।
আমেরিকার দাবি আফগানিস্তানে কমপক্ষে ২ হাজার আইএস সন্ত্রাসবাদী সদস্য গা ঢাকা দিয়ে আছে।
আফগানিস্তান ছেড়ে যাবার সময় ২৭টি হামভি এবং ৭৩টি বিমান ফেলে রেখে যেতে বাধ্য হয়েছে আমেরিকা। যদিও আমেরিকার দাবি অনুসারে সেগুলো নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। যা আর কখনোই ব্যবহার করা যাবেনা। এছাড়াও নিস্ক্রিয় করে দেওয়া হয়েছে সি-র্যামস (কাউন্টার রকেট, আর্টিলারি অ্যান্ড মর্টার সিস্টেম)।
আফগানিস্তান থেকে আমেরিকার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়া শেষ বিমানের যাত্রী ছিলেন মেজর জেনারেল ক্রিস্টোফার ডানহাউ, ৮২ এয়ারবোরন ডিভিশনের কম্যান্ডার এবং আফগানিস্তানে আমেরিকান রাষ্ট্রদূত রস উইলসন।
- with inputs from IANS
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন