হস্তান্তরের আগে কর্মীদের সমস্ত বকেয়ার বিষয়ে নিষ্পত্তি চেয়ে ইন্ডিয়ান পাইলটস গিল্ড (IPG)-এর পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হল এয়ার ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টরকে।
আইপিজি জানিয়েছে, ইতিমধ্যে প্রতিশ্রুত বকেয়া ন্যায্যভাবে মিটিয়ে দেবার জন্য কোম্পানিকে বিষয়টি মনে করিয়ে দেবার জন্য এই চিঠি। এই সংকটময় সন্ধিক্ষণে যেখানে আন্তর্জাতিক যাতায়াত শুরু হয়েছে এবং উত্সব মরসুমের কারণে অভ্যন্তরীণ চাহিদা ক্রমাগতভাবে বাড়ছে, সেখানে পাইলটদের আবারও ক্ষমতার বাইরে গিয়ে অতিরিক্ত উড়ান পরিষেবা দিতে হবে।
আইপিজি তাদের চিঠির মাধ্যমে জানিয়েছে, "আমরা বিশ্বাস করি কোনো কর্মচারী যাতে প্রতারিত বোধ না করেন আপনি সেভাবেই বকেয়ার নিষ্পত্তি করবেন। আমরা আমাদের নতুন মালিকের সাথে নতুন করে শুরু করার বিষয়ে আশাবাদী। হস্তান্তরের সময় আমাদের বকেয়ার মীমাংসার ক্ষেত্রে কর্মচারীরা যাতে প্রতারিত না হয় সেই বিষয়ে নজর রাখার জন্য আমরা আপনাকে অনুরোধ করছি। এই দিকে লক্ষ্য রাখা না হলে ব্যাপক প্রতিবাদ এবং শিল্প বিরোধের দিকে এই ঘটনা যেতে পারে।
আইপিজি ওই চিঠিতে আরও জানিয়েছে, ২০০৬ মজুরি চুক্তি অনুসারে ক্যাপ্টেন এবং কো-পাইলটদের জন্য একটি মাসিক লে-ওভার সাবসিস্টেন্স অ্যালাউন্স (LSA) বরাদ্দ করা হয়েছিলো। বছরের পর বছর ধরে, এই পরিমাণের ২৫ শতাংশ আটকে রাখা হয় এবং তা এখনও বকেয়া রয়েছে। সংজ্ঞা অনুসারে, LSA হল এমন এক ভাতা, যা আন্তর্জাতিক লে-ওভারে নিজের খরচ চালানোর জন্য দেওয়া হয়, যেখানে জীবনধারণের খরচ অত্যন্ত বেশি। পাইলটরা তাদের নিজস্ব পকেট থেকে আন্তর্জাতিক লেওভারে খরচ করেছে, কারণ এই পরিমাণ অর্থ সঠিকভাবে সময়মতো দেওয়া হয়নি। এত বছর ধরে বৈদেশিক মুদ্রায় খরচ করা এই টাকা দীর্ঘ সময়ের জন্য বকেয়া পড়ে আছে। এছাড়াও ২০০৬ মজুরি চুক্তি অনুসারে প্রাপ্য ওভারটাইম-এর টাকাও দীর্ঘ সময়ের জন্য বকেয়া।
সংস্থাটি দীর্ঘদিন ধরে কর্মচারীদের এই বকেয়ার সম্পর্কে জানতো এবং সরকারও এই বকেয়া মেটাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলো। এই বিষয়ে স্বচ্ছতা আনা প্রয়োজন। উপরে উত্থাপিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলিতে আমরা অবিলম্বে আমাদের প্রতিটি সদস্যের বকেয়া অর্থের হিসাব সহ একটি বিস্তারিত বিবৃতি চাইছি।
২০১২ সালে ভুলবশত সমস্ত কর্মচারীদের একতরফা ২৫ শতাংশ বেতন কাটা কার্যকর করা হয়েছিল। যদিও ম্যানেজমেন্ট লিখিতভাবে স্বীকার করেছে যে বেশ কয়েক বছর ধরে আটকে রাখা বকেয়া অর্থ কর্মচারীদের ফেরত দেওয়া উচিত। যদি এই বকেয়া টাকার ওপর উপযুক্ত সুদ দিয়ে কর্মচারীদের যথাযথভাবে ক্ষতিপূরণ না দেওয়া তা একটি উপহাস হবে। এই ঘটনার পর থেকে ৯ বছর কেটে গেছে। এখন কোম্পানি যদি কর্মচারীদের খরচে সুদ-মুক্ত বিনিয়োগ লাভ করে তা অত্যন্ত অন্যায় কাজ হবে৷
- with Agency Inputs
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন