এ যেন চৈত্র সেল। একটা কিনলে একটা ফ্রি। এবছর বিক্রি করা হবে ১৩টি বিমানবন্দর। একটি লাভজনক বিমানবন্দরের সঙ্গে মিলবে একটি অলাভজনক বিমানবন্দর।
করোনা আবহে লোকসানের অজুহাতে বিমানবন্দর বিক্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। দ্বিতীয় ঢেউ কেটে গেলে যখন সব স্বাভাবিক হবে, তখন বিমানবন্দর খুললে ভালো লাভ হতে পারে বিমানবন্দরে। এরকমটাই মনে করছে মোদি সরকার।
বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় এবছর অক্টোবরে নিলামে বিক্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগেই ৬টি বিমানবন্দর মোদি ঘনিষ্ঠ শিল্পপতির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ফলে এই বছরই ১৯টি বিমানবন্দর বিক্রি করে দিচ্ছে কেন্দ্র।
অর্থমন্ত্রীর নির্মলা সীতারামন জানিয়েছেন, ন্যাশনাল মনিটাইজেশন পাইপলাইনে চার বছরে মোট ২৫টি বিমানবন্দর বিক্রি করে তোলা হবে ৩৬৬০ কোটি টাকা। আদানি গোষ্ঠীর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে আমেদাবাদ, ম্যাঙ্গালোর, জয়পুর, লখনৌ, গুয়াহাটি ও তিরুবনন্তপুরম।
এবার যে তেরোটি বিমানবন্দর নিলামে ডাকা হচ্ছে, তারমধ্যে ছটি লাভজনক বিমানবন্দর সরিয়ে নিলাম ডাকা হয়েছে, সেগুলি হল ভুবনেশ্বর বারানসি অমৃতসর ত্রিচি, ইন্দোর এবং রায়পুর। লাভজনক ভুবনেশ্বর বিমানবন্দরের সঙ্গে ঝার্সুগুদা বিমানবন্দর, বারানসী বিমানবন্দরের সঙ্গে কুশিনগর এবং গোয়া অমৃতসরের বিমানবন্দরের সঙ্গে কাংরা বিমানবন্দর, রায়পুর বিমানবন্দরের সঙ্গে জলগাঁও বিমানবন্দর, ত্রিচির সঙ্গে সালেম বিমানবন্দর, ইন্দোর বিমানবন্দরের সঙ্গে জব্বলপুর বিমানবন্দর মিলবে।
আগামী অক্টোবরে আশা করা হচ্ছে বিমানবন্দরে ৮০ শতাংশ যাত্রী বিমান যাত্রায় ফিরে আসবেন। সেইসময় নতুন বিমানবন্দর নির্মাণের কাজ শুরু করে দেওয়া হবে বলে মন্ত্রক থেকে জানিয়েছে। বিমানবন্দর বেসরকারিকরণে ভালোই সাড়া মিলেছে।
বহু কর্পোরেট বন্দর কেনা নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তাই দ্রুত বিমানবন্দর বিক্রির প্রক্রিয়া সেরে ফেলতে চায় কেন্দ্র। এদিকে যে লাভজনক বিমানবন্দর বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে, তার মধ্যে রয়েছে ভুবনেশ্বর, অমৃতসর, ইন্দোর এবং ত্রিচি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন