সম্পন্ন হয়েছে অযোধ্যায় রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠান। সম্পূর্ণ আচার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রামমন্দির উদ্বোধন উপলক্ষ্যে উপস্থিত রয়েছেন বিজেপির প্রথম সারির সমস্ত নেতা-মন্ত্রীরা। পাশাপাশি উপস্থিত ধর্মীয় নেতা, চলচ্চিত্র তারকা, ক্রীড়াবিদ, সঙ্গীতজ্ঞ এবং অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। জানা গেছে, রামমন্দির উদ্বোধন উপলক্ষ্যে প্রায় ১০ হাজার মানুষ আমন্ত্রিত।
রামমন্দির উদ্বোধনের দিন আমন্ত্রিত ছিলেন বিরোধী জোট ইন্ডিয়া-র নেতারাও। তবে তারা বিজেপির বিরুদ্ধে ধর্মীয় রাজনীতি করার অভিযোগ এনে রামমন্দির যাবেন না বলে জানিয়েছেন। তবে আজ বিভিন্ন জনসংযোগ কর্মসূচী নিয়েছেন ইন্ডিয়া শিবিরের নেতারা। কে কী করছেন, দেখে নেওয়া যাক-
মমতা বন্দোপাধ্যায়ঃ
আগেই রামমন্দির উদ্বোধনের দিন রাজ্যে ‘সংহতি মিছিলের’ কথা ঘোষণা করেছিলেন। আজ দুপুর ৩ টে নাগাদ হাজরা মোড় থেকে এই মিছিল শুরু হয়েছে এবং পার্ক সার্কাস ময়দানে শেষ হবে। সেখানে সভাও করবেন তৃণমূল সুপ্রিমো। দলের পাশাপাশি বৃহত্তর নাগরিক সমাজকেও শামিল হওয়ার আহ্বান জানান তৃণমূলনেত্রী। ‘সংহতির বার্তা’ দিতে দলকে ব্লক স্তরেও সংহতি মিছিল করার নির্দেশ দেন তিনি।
রাহুল গান্ধীঃ
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বর্তমানে ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’ নিয়ে রয়েছেন আসামে। আগেই রামমন্দির যাবে না বলে জানিয়েছিলেন তিনি। সোমবার রাহুল গান্ধীর আসামের নওগাঁওতে বটদ্রব সত্র মন্দিরে কর্মসূচি ছিল। কিন্তু জানা গেছে, মন্দিরে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়েছে কংগ্রেস নেতাকে। তার পরেই অবস্থানে বসে পড়েন কংগ্রেস নেতা।
অরবিন্দ কেজরিওয়ালঃ
কেজরিওয়ালকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু তিনি জানিয়েছিলেন সপরিবারে পরে রামমন্দির দর্শনে যেতে চান তিনি। অযোধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধন উপলক্ষ্যে আজ দিল্লির একাধিক জায়গায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। একাধিক জায়গায় প্রাণপ্রতিষ্ঠা উপলক্ষ্যে শোভাযাত্রা করবে আপ। উপস্থিত থাকবেন আপ বিধায়ক, মন্ত্রী ও পুরসদ্যসরাও।
এমকে স্ট্যালিনঃ
তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন আগেই জানিয়েছিলেন, মসজিদ ভেঙ্গে মন্দির প্রতিষ্ঠাকে তিনি সমর্থন করেন না। তাই তিনি উপস্থিত থাকবেন না। অন্যদিকে, শনিবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন অভিযোগ করেন যে, তামিলনাড়ুতে রামলালার ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’ টিভিতে সরাসরি সম্প্রচার করতে ‘বাধা’ দিচ্ছে এমকে স্ট্যালিনের সরকার। যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে ডিএমকে জানায়, সোমবারই রাজ্যের সালেমে হওয়া তাদের যুব সম্মেলন থেকে নজর ঘোরাতেই অবান্তর অভিযোগ করছে বিজেপি।
এছাড়াও, উপস্থিত থাকছেন না এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার। তিনি জানিয়েছেন পরে তিনি মন্দিরে যাবেন। যাচ্ছেন না আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদ যাদব। তবে তিনি না যাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেননি। সমাজবাদী পার্টি প্রধান তথা উত্তরপ্রদেশের বিরোধী দলনেতা অখিলেশ যাদব, তাঁর আমন্ত্রণকে দায়সারা হিসাবে উল্লেখ করেছেন।
অন্যদিকে, সিপিআইএমের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে তাঁরাও উপস্থিত থাকবে না। তারা মানুষের আবেগকে শ্রদ্ধা করে কিন্তু বিজেপির এই ধর্মীয় রাজনীতিকে তারা সমর্থন করে না।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন