কেন্দ্রের তিন কৃষি আইনের বিরোধিতা করায় কেন্দ্রীয় সরকার তাদের বিরুদ্ধে দমনমূলক নীতি নিয়েছে। এর প্রতিবাদে আগামী ২৩ থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারি নতুন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন তীব্র করে তোলার জন্য একাধিক কর্মসূচির ঘোষণা করা হল আন্দোলনরত কৃষক সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে।
এর আগে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিলো যে, তাঁরা শীঘ্রই দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবাদ চালিয়ে যাওয়ার জন্য একটা পদক্ষেপ করবেন। উল্লেখ্য, এই বিক্ষোভে নেতৃত্ব দিচ্ছে বিভিন্ন কৃষক সংগঠনের যৌথ মঞ্চ সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা (এসকেএম)। গতকাল এক সাংবাদিক সম্মেলন করে তাঁরা জানিয়েছেন, ২৩ ফেব্রুয়ারি মূলত 'পাগাডি সম্ভল দিবস' ও ২৪ শে ফেব্রুয়ারি 'দমন বিরোধী দিবস' পালন করা হবে। মোর্চার পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, ২৬ ফেব্রুয়ারি ‘যুব কিষাণ দিবস (যুব কৃষক দিবস) এবং ২৭ ফেব্রুয়ারি ‘মজদুর কিষাণ একতা দিবস’(কৃষক-শ্রমিক ঐক্য দিবস) হিসাবে পালিত হবে।
সরকার বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতার, আটক এবং মামলা রুজু-সহ একাধিক দমনমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে। সিংঘু সীমানাকে আন্তর্জাতিক সীমানা হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে বলে জানান কৃষক নেতা যোগেন্দ্র যাদব। আগামী ৮ মার্চ থেকে সংসদের পরবর্তী অধিবেশনকে সামনে রেখে এই আন্দোলনের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করা হবে এবং এসকেএমের পরবর্তী সভায় এই বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
মোর্চা নেতা দর্শন পালও বলেন, প্রজাতন্ত্র দিবসে ট্র্যাক্টর সমাবেশে রাজধানীতে হিংসা ও ভাঙচুরের অভিযোগে দিল্লি পুলিশ যে ১২২ জনকে গ্রেফতার করেছিলো, তার মধ্যে প্রায় ৩২ জন জামিন পেয়েছেন। বাকিরা এখন আটক আছেন। তাঁদের অবিলম্বে মুক্তি দেবার দাবি জানান তিনি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন