গত সাড়ে চার বছর ধরে বেতন হয় না অসমের নগাঁওয়ের এক কাগজের মিলে। ফলে চরম অর্থকষ্টে দিন কাটছে মিলের কর্মীদের। অর্থের অভাবে ন্যূনতম চিকিৎসার খরচটুকুও চালাতে পারছেন না কর্মীরা। গত ২৪ জুন চিকিৎসার অভাবে মৃত্যু হয়েছে এক কর্মীর।
কেন্দ্র পরিচালিত কাগজের মিলের মধ্যে একটি হচ্ছে হিন্দুস্তান পেপার মিল কর্পোরেশন লিমিটেড। গত ৫ বছর ধরে কেন্দ্রীয় সরকার বার বার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসলেও এই মিলটি কাজ শুরু করতে পারেনি। মিল সংগঠনের জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটির সভাপতি মানবেন্দ্র চক্রবর্তী জানিয়েছেন, নগাঁওয়ের এই কাগজের মিলের কর্মীর মৃত্যুতে রাজ্যের দুটি মিলে মোট কর্মীর মৃত্যুর সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াল ৯০-তে। যার মধ্যে ৪ জন আত্মহত্যা করেছেন গত ৪ বছরে।
তিনি আরও বলেন, চলতি বছরের মে মাসে হিমন্ত বিশ্বশর্মার নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর এই নিয়ে পঞ্চম মৃত্যু হল। উল্লেখ্য, এই কর্মীর ছোট ছেলে ২০১৯ সালে গুরুতর অসুস্থ হয়ে মারা গিয়েছিল। শুধুমাত্র অর্থের অভাবে চিকিৎসা না করাতে পারার কারণে একের পর এক পেপার মিল কর্মীর মৃত্যু হচ্ছে বলেও তিনি ক্ষোভ উগরে দেন।
এদিকে, কাচার পেপার মিলের উৎপাদনও বন্ধ হয়ে গিয়েছে ২০১৫ সালের অক্টোবর মাসেই। অর্থের অভাবে এনপিএ ২০১৭ সালে উৎপাদন বন্ধ করে দেয়। মিলের কর্মীরা জানিয়েছেন, সবকিছু্ই ঠিকঠাক চলছিল। কিন্তু কোনও অজানা কারণে হঠাৎ করেই নগাঁওয়ের এই পেপার মিলের উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়া হয়। অভিযোগ, বেসরকারী সংস্থার কাগজ উৎপাদনকারীদের সুবিধা পাইয়ে দিতে কেন্দ্রীয় সরকারের 'ষড়যন্ত্রের' ফলেই এই মিলটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন