২০২২-২৩ অর্থবর্ষে মোট ২,১২০ কোটি টাকা অনুদান পেয়েছে বিজেপি। এর মধ্যে নির্বাচনী বন্ড (Electoral Bond) থেকে এসেছে প্রায় ১,৩০০ কোটি টাকা। অর্থাৎ মোট অনুদানের ৬১ শতাংশই এসেছে নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে।
বিজেপির পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা দেওয়া ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের বার্ষিক অডিট রিপোর্ট থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন দলটির মোট আয় হয়েছে ২,৩৬০.৮ কোটি টাকা। যেখানে ২০২১-২২ অর্থবর্ষে দলটির মোট আয় হয়েছিল ১,৯১৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে অনুদান হিসেবে এসেছিল ১,৭৭৫ কোটি টাকা।
২০২২-২৩ অর্থবর্ষে বিজেপি সুদ থেকে আয় করেছে ২৩৭ কোটি টাকা। বিগত অর্থবর্ষে সুদ থেকে আয়ের পরিমাণ ছিল ১৩৫ কোটি টাকা।
বিজেপি তাদের রিপোর্টে জানিয়েছে, ওই অর্থবর্ষে দলীয় প্রচারে নেতাদের যাতায়াতের জন্য যে বিমান এবং হেলিকপ্টার ভাড়া করা হয়েছে তার জন্য ব্যয় করা হয়েছে ৭৮.২ কোটি টাকা। প্রার্থীদের জন্য খরচ করা হয়েছে ৭৬.৫ কোটি টাকা।
২০২২-২৩ অর্থবর্ষে নির্বাচনী বন্ড থেকে কংগ্রেস পেয়েছে মাত্র ১৭১ কোটি টাকা। অর্থাৎ কংগ্রেসের তুলনায় বিজেপি ৭ গুনেরও বেশি টাকা পেয়েছে নির্বাচনী বন্ড থেকে। ২০১১-২২ অর্থবর্ষে কংগ্রেস পেয়েছিল ২৩৬ কোটি টাকা।
অন্য এক জাতীয় দল সমাজবাদী পার্টি ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে নির্বাচনী বন্ড থেকে কোনও টাকা পায়নি। তার আগের অর্থবর্ষে এই দলটি নির্বাচনী বন্ড থেকে পেয়েছিল ৩.২ কোটি টাকা।
জাতীয় দল হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া তেলেগু দেশম পার্টি ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ৩৪ কোটি টাকা পেয়েছে নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে, যা আগের অর্থবর্ষের থেকে ১০ গুণ বেশি।
উল্লেখ্য, ইলেক্টোরাল বন্ড বা নির্বাচনী বন্ড হল সুদ বিহীন বন্ড, প্রমিসরি নোট (Promissory Note) বা ডিমান্ড ড্রাফট (Demand Draft)-এর মতো। বিভিন্ন টাকার অঙ্কে এই বন্ডগুলি পাওয়া যায়, যেমন ১ হাজার, ১০ হাজার, ১ লক্ষ, ১০ লক্ষ এবং ১ কোটি টাকার।
যে কোনও ব্যক্তি বা সংস্থা এই বন্ডগুলি স্টেট ব্যাঙ্ক (SBI) থেকে কিনে চাঁদা হিসাবে তা রাজনৈতিক দলগুলিকে দিতে পারেন। পরে সেই বন্ডগুলি ভাঙিয়ে নিজেদের অ্যাকাউন্টে জমা করতে পারে রাজনৈতিক দলগুলি। তবে, আশ্চর্যের বিষয়, এই নির্বাচনী বন্ডগুলি (চাঁদা হিসাবে) কারা দিয়েছে, তাদের নাম প্রকাশ করতে হয় না রাজনৈতিক দলগুলিকে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন