আরজি কর কাণ্ড নিয়ে তোলপাড় গোটা রাজ্য। পুরো বিষয়টিতেই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করছে বিরোধী দলগুলি থেকে সাধারণ মানুষের একাংশ। কিন্তু রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল হিসেবে বিজেপির ভূমিকায় অসন্তুষ্ট খোদ গেরুয়া শিবিরের কর্মী-সমর্থকরাই। দলীয় সূত্রে এমনটাই খবর প্রকাশ্যে আসছে।
সাধারণত রাজ্যে এই ধরণের কোনও ঘটনা ঘটলে বিরোধী দলগুলি সরকারের উপর চাপসৃষ্টি করতে থাকে। কখনও বিরোধী দল সরাসরি আবার কখনও ছাত্র, যুব অথবা শ্রমিক সংগঠনকে নামিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলায় আগ্রাসী হয়ে ওঠে। কিন্তু বিজেপি কর্মী সমর্থকদের একাংশের মতে বিজেপি সেই আগ্রাসী ভূমিকা দেখাতে পারছে না। তাদের ছাত্র সংগঠন ABVP-কে কাজে লাগাতে পারছে না।
দলীয় সমর্থকদের একাংশের দাবি, বিজেপি নেতৃত্ব দায়িত্বশীল কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। বরং সিপিআইএম-র ছাত্র সংগঠন SFI ও যুব সংগঠন DYFI যেভাবে পর পর কর্মসূচি গ্রহণ করছে, দেখে মনে হচ্ছে ওরাই প্রধান বিরোধী দলে রয়েছে। এটা কেন হবে? যদিও মঙ্গলবার করুণাময়ী থেকে স্বাস্থ্যভবন অভিযানের ডাক দিয়েছিল ABVP। কিন্তু সল্টলেক সিটি সেন্টার থেকে করুণাময়ীর দিকে এগোতেই পুলিশি বাধার মুখে পড়ে তারা। পরে মিছিল ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
গেরুয়া শিবিরের অন্দরেই অনেকে জানান, নেতাদের এই বিষয় নিয়ে ভাবা উচিত। বিজেপি কর্মসূচি নিলেও তা সংগঠিত করতে পারছে না। কিছুদিন আগেই শ্যামবাজারে একটি কর্মসূচি নেওয়া হয় কিন্তু তাতে লোকসংখ্যা কম থাকায় সফল হয়নি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে যদিও বা কিছুটা দেখা গেছে আন্দোলনে, কিন্তু সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষের মতো রাজ্যের শীর্ষ স্থানীয় নেতাদের একদমই দেখা যায়নি। বিজেপির মহিলা কর্মী, নেত্রীরাও সক্রিয় নন সেভাবে। এমনকি মহিলাদের রাত দখলের কর্মসূচীকে সিপিআইএম যেভাবে সমর্থন করে এগিয়ে এসেছে এবং পথে নেমেছে, বিজেপি তা করেনি।
এইসব আন্দোলনের বিষয়ে শুভেন্দু অধিকারী জানান, বিজেপিকে আন্দোলন করতে হলে বারবার আদালতের অনুমতি নিতে হচ্ছে। আমার প্রচুর অভিজ্ঞতা রয়েছে এইসব আন্দোলনের। হাজার হাজার লোক এলে পুলিশ পিছু হটবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন