স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতারির ৬ দিনের মাথায় মন্ত্রীসভা থেকে অপসারণ করা হয়েছে। কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে পার্থ-ঘনিষ্ঠ অর্পিতার বাড়ি থেকে।
পার্থ-ঘনিষ্ঠ অর্পিতার টালিগঞ্জ এবং বেলঘড়িয়ার ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৫০ কোটি টাকা, সোনার গয়না এবং বিদেশী মুদ্রা উদ্ধার হয়েছে। এখন প্রশ্ন হল, আর্থিক দুর্নীতি মামলায় উদ্ধার হওয়া এই কালো টাকা তদন্ত চলাকালীন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা কীভাবে সংরক্ষণ করে? সংরক্ষণের পরেই বা কোথায় যায় সেই টাকা? দেখে নেওয়া যাক,
১) কোনও আর্থিক দুর্নীতির তদন্তে নেমে টাকা উদ্ধার হলে তা ব্যাঙ্কে কারেন্ট অ্যাকাউন্ট খুলে সেখানে জমা করা হয়।
২) ব্যাঙ্কে ওই কারেন্ট অ্যাকাউন্টটি খোলা হয় তদন্তকারী একজন এসপি পদমর্যাদার আধিকারিকের নামে।
৩) কোনও জায়গা থেকে খোলা অবস্থায় যে টাকা উদ্ধার হয়, তা আদালতের অনুমতিক্রমে ওই কারেন্ট অ্যাকাউন্টটিতে জমা রাখা হয়।
৪) তবে খামবন্দী বা মোড়া অবস্থায় টাকা পাওয়া গেলে তা গুনে আদালতের অনুমতি নিয়ে রাখা হয় মালখানায়।
৫) কোনও টাকার গায়ে কিছু লেখা থাকলেও তাও মালখানায় রাখা হয় আদালতের অনুমতি নিয়ে।
৬) কত টাকা কী অবস্থায় পাওয়া গেছে তা সবিস্তারে আদালতকে জানানো হয়।
৭) মালখানায় থাকা টাকা বিচার প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত অন্যান্য নথির সঙ্গেই রাখা হয় প্রমাণ হিসেবে।
৮) বিচার প্রক্রিয়া শেষে আদালতকে জানিয়েই মালখানায় থাকা টাকা ওই কারেন্ট অ্যাকাউন্টে জমা করা হয়।
৯) কারেন্ট অ্যাকাউন্টে জমা পড়া টাকা ব্যাঙ্ক নিজেদের মত করে বাজারে খাটায়।
১০) বিচার প্রক্রিয়া শেষে ওই কালো টাকা সরকারের সম্পত্তি হিসেবেই বিবেচিত হয়।
তবে ইডি সূত্র মারফত জানা গেছে, এক্ষেত্রে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া ব্যাপক অঙ্কের টাকা নিরাপদ স্থানেই সংরক্ষিত আছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন