রেলের একাংশ, বিমানবন্দর-সহ বিভিন্ন লাভজনক কেন্দ্রীয় সংস্থার ইতিমধ্যে বেসরকারিকরণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এবার সেই কোপ পড়তে চলেছে কেন্দ্রীয় ডাকবিভাগের ওপরে। উন্নত পরিষেবা দেওয়ার আশ্বাস, খরচ কমানোর বাহানায় এবার কর্পোরেটদের পিছন দিক দিয়ে ভিতরে প্রবেশের সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে।
গত ২১ তারিখ নিউ দিল্লি সেন্ট্রাল ডিভিশন থেকে এজেন্সির মাধ্যমে নিয়োগের জন্য দেশে প্রথমবার বেসরকারি সংস্থার কাছে ডাকবিভাগ টেন্ডারের আহ্বান জানিয়েছে। এতদিন ডেলিভারি পার্সোনাল (পোস্টম্যান) ও মাল্টি টাস্কিং স্টাফ—পোস্টাল বিভাগের নিজস্ব পদ্ধতিতে নিয়োগ হত। দু’টি পদেই এখন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আউটসোর্সিং শুরু হয়েছে।
এদিকে, বেশকয়েক বছর ধরে ফ্র্যাঞ্চাইজি স্কিমে চলা ডাকমিত্র নাম দিয়ে ওই ব্যবস্থাকে নতুন আঙ্গিকে পেশ করেছে কেন্দ্র। যোগাযোগ মন্ত্রক দেশের প্রতিটি পোস্টাল সার্কেলের প্রধানের কাছে ফ্র্যাঞ্চাইজি স্কিম চালুর যে প্রস্তাব দিয়েছে। তাতে উল্লেখ রয়েছে, কর্পোরেট সংস্থাগুলিকে কমপক্ষে ৩০টি সেন্টার খুলতে হবে। বিশেষজ্ঞ মহলের ধারণা কোনও বহুজাতিক সংস্থা অংশ নিয়ে যদি বৃহৎ আকারে এই ডাক পরিষেবা দেওয়া শুরু করে, তাহলে আর গ্রামীণ পোস্ট অফিসগুলিতে গ্রাহকরা আসবেন না।
অন্যদিকে, আশঙ্কা করা হচ্ছে, প্রথমদিকে গ্রাহক টানতে বাড়তি সুযোগ দেওয়া হবে। পরে দেশবাসীর কাঁধে বাড়তি বোঝা চাপানো হতে পারে। সরকারি কর্মীদের দাবি, সরকার যেহেতু এটিকে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে দেখছে, তাই এখনই তীব্র বিরোধিতা করা দরকার। নয়তো নিয়োগ প্রক্রিয়াই তুলে দেবে। এরপর শুধুমাত্র এজেন্সির মাধ্যমে লোক নেওয়া হবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন