দেশের পরিকাঠামোর উন্নয়নে দেশের আয় বৃদ্ধির জন্য কী কী বিক্রি করতে চলেছে কেন্দ্র, আজ তার তালিকা প্রকাশ হতে চলেছে। রেল, তেল, সড়ক, গ্যাস, বিদ্যুৎ, বন্দর, টেলিকম, স্টেডিয়াম কী কী বিক্রি করা হবে, তার তালিকা তৈরি হয়েছে। এই তালিকায় ফলাও করে একটি নামও দেওয়া হয়েছে, ন্যাশনাল মনিটাইজেশন পাইপলাইন।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর নির্মলা সীতারামন এই বইয়ের উদ্বোধন করবেন। অর্থমন্ত্রক সূত্রের খবর, আগামী চার বছরে কোন কোন সেক্টর বিক্রি করে দেওয়া হবে, তা কর্পোরেটদের সামনে তুলে ধরতে এই বইটি প্রকাশিত হতে চলেছে। বাজেট ঘোষণার সময় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, চলতি বছরে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিক্রি করে তোলা হবে আড়াই লক্ষ কোটি টাকা।
নীতি আয়োগ তালিকা তৈরি করে অর্থমন্ত্রীকে পাঠিয়ে দিয়েছে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের ডিপার্টমেন্ট অফ ইনভেসমেন্ট এন্ড পাবলিক অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট বিভিন্ন মন্ত্রকের সঙ্গে কথা বলে চূড়ান্ত করেছে। সচিব তুহিনকান্ত পান্ডে জানান, আয়োগের তালিকা অনুসারে সরকার মোট ছয় লক্ষ কোটি টাকা দেশের পরিকাঠামো সম্পত্তি বেচে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এবছরই আড়াই লক্ষ কোটি টাকা তোলার পরিকল্পনা রয়েছে। যেসব পরিকাঠামো সম্পত্তি বিক্রি করা হবে, তার দাম ধার্য করা হয়েছে।
এসব সম্পত্তি রয়েছে মোট আটটি মন্ত্রকের অধীনে। এই তালিকায় নতুন করে যুক্ত করা হয়েছে দেশের ৫০টি রেলস্টেশন এবং ১৫০টি ট্রেন। ১৩টি বিমানবন্দরের সঙ্গে দিল্লি, মুম্বাই, বেঙ্গালুরু, হায়দ্রাবাদ বিমান বন্দর সরকারি অংশের শেয়ারও বিক্রি করে দেওয়া হবে। অর্থমন্ত্রী মহামারীর আগে থেকেই বারবার মোদি জমানায় বিনিয়োগের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে দাবি করে এলেও আদতে তা হয়নি। উল্টে কমে গিয়েছে।
মোদির একের পর এক এই ধরনের সিদ্ধান্তে জনপ্রিয়তা কমেছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম 'মুড অফ নেশনস' বলে যে সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা গিয়েছে, মোদিকে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চান মাত্র ২৪ শতাংশ দেশবাসী। কিন্তু সেই তালিকায় উঠে এসেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন