দেশে প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জন অভিভাবক দ্রুত তাঁদের সন্তানদের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন দিতে চাইছেন। সম্প্রতি র্যাবিটাট নামক সংস্থার করা এক সমীক্ষায় এই তথ্য উঠে এসেছে। ওই সমীক্ষা থেকেই জানা গেছে, বহু অভিভাবক তাঁদের সন্তানদের ভ্যাকসিন না দিয়ে স্কুলে পাঠাতে চাইছেন না।
র্যাবিটাট-এর সমীক্ষা থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, প্রতি ১০ জন অভিভাবকের মধ্যে মাত্র ১ জন তাঁদের সন্তানদের ভ্যাকসিন দিতে চাইছেন না।
র্যাবিটাট জানাচ্ছে, সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ৩০০ অভিভাবকের ওপর এই সমীক্ষা চালানো হয়। সমীক্ষার তথ্য অনুসারে, ১.২ শতাংশ অভিভাবক সন্তানদের ভ্যাকসিনকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন না। ৫.৬ শতাংশর এই বিষয়ে ধারণা নেই বলে জানিয়েছে এবং ৯৩.২ শতাংশ অভিভাবক ভ্যাকসিনকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন।
যতজন অভিভাবকের সাক্ষাৎ নেওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে ৬৪.৩ শতাংশ অভিভাবকের ভ্যাক্সিনেশন সম্পূর্ণ হয়েছে। যারা এখনও ভ্যাকসিন নেননি তাদের অনেকেই কোভিড-১৯ সংক্রমিত হবার কারণে ভ্যাকসিন নিতে পারছেন না। কিছু অভিভাবক গর্ভাবস্থার এবং শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর জন্য ভ্যাকসিন নিতে পারছেন না। এছাড়াও বেশ কিছু অভিভাবক আছেন যারা ভ্যাকসিনের সরবরাহ না থাকার কারণে ভ্যাকসিন নিতে পারছেন না।
ভ্যাকসিন প্রসঙ্গে অভিভাবকদের ৫৭.৪ শতাংশ জানিয়েছেন তাঁরা কোভিশিল্ড পছন্দ করছেন, ২২.২ শতাংশ কোভ্যাক্সিনের পক্ষে, ১৪.৮ শতাংশ স্পুটনিকের পক্ষে এবং ৫.৬ শতাংশের কোনো বিশেষ পছন্দ নেই। ৮৯.৫ শতাংশ অভিভাবক তাঁদের সন্তানদের ভ্যাকসিন দেওয়াতে ইচ্ছুক। ৮.৯ শতাংশর এই বিষয়ে কোনো ধারনা নেই এবং ১.৬ শতাংশ জানিয়েছেন তাঁরা তাঁদের সন্তানদের ভ্যাকসিন দেওয়াতে চান না।
বর্তমান পরিস্থিতিতে স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে ৮৯.৭ শতাংশ অভিভাবকরা জানিয়েছেন, তাঁরা ভ্যাকসিন না নেওয়া পর্যন্ত তাঁদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে ইচ্ছুক নন এবং ১০.৩ শতাংশ জানিয়েছেন ভ্যাকসিন দেওয়া না হলেও তাঁদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে কোনো আপত্তি নেই।
- with inputs from IANS
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন