Covid-19: বেসরকারি হাসপাতালে টিকার সর্বোচ্চ দাম বেঁধে দিলো কেন্দ্রীয় সরকার

কেন্দ্রের ঘোষণা অনুযায়ী কোভিশিল্ডের দাম ৭৮০ টাকা, কোভ্যাক্সিনের দাম ১,৪১০ টাকা এবং স্পুটনিকের দাম ১,১৪৫ টাকা। এই টাকার মধ্যে ট্যাক্স এবং ১৫০ টাকা বেসরকারি হাসপাতালের পরিষেবা খরচ হিসেবে ধরা হয়েছে।
Covid-19: বেসরকারি হাসপাতালে টিকার সর্বোচ্চ দাম বেঁধে দিলো কেন্দ্রীয় সরকার
ছবি প্রতীকী
Published on

বেসরকারি হাসপাতালের জন্য কোভিড ভ্যাকসিনের সর্বোচ্চ দাম বেঁধে দিলো কেন্দ্রীয় সরকার। মঙ্গলবার এক নির্দেশিকায় এই দাম ঘোষণা করা হয়েছে। কেন্দ্রের ঘোষণা অনুযায়ী কোভিশিল্ডের দাম ৭৮০ টাকা, কোভ্যাক্সিনের দাম ১,৪১০ টাকা এবং স্পুটনিকের দাম ১,১৪৫ টাকা। এই টাকার মধ্যে ট্যাক্স এবং ১৫০ টাকা বেসরকারি হাসপাতালের পরিষেবা খরচ হিসেবে ধরা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গতকাল সোমবার জাতির উদ্দেশ্যে এক ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছিলেন কোভিড টিকাকরণে বেসরকারি হাসপাতাল সর্বোচ্চ ১৫০ টাকা পরিষেবা খরচ হিসেবে নিতে পারবে। এই ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তিন টিকার সর্বোচ্চ দাম ঘোষণা করলো কেন্দ্র। কোনো বেসরকারি হাসপাতাল নির্ধারিত মূল্যের থেকে বেশি দাম যাতে না নেয় তার দিকে নজর রাখতে বলা হয়েছে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারদের।

কেন্দ্রের এদিনের নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে কোনো বেসরকারি হাসপাতাল নির্ধারিত দামের বেশি দাম নিলে সেই সংস্থার বিরুদ্ধে মহামারী আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।

সরকার পরিচালিত সংস্থায় বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। জানা গেছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ৪৪ কোটি ভ্যাকসিনের বরাত দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাকসিন আছে।

যদিও সোমবার প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পরেই কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী প্রশ্ন তুলেছিলেন যদি সকলের জন্যে বিনামূল্যেই ভ্যাকসিনের বন্দোবস্ত করে থাকে সরকার তাহলে বেসরকারি হাসপাতালে কেন ভ্যাকসিনের জন্য দাম নেওয়া হবে। বহু সমালোচকের বক্তব্য অনুসারে – বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সরকার নিজের খরচে বিনামূল্যে এই টিকাকরণের ব্যবস্থা করেছে।

এর আগে সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকেও এই বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করা হয়েছিলো। আদালত কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ১৮-৪৪ বছর বয়সীদের বিনামূল্যে ভ্যাকসিন না দেবার সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তোলে। আদালতের মতে এই নীতি দৃশ্যত স্বৈরাচারী এবং যুক্তিহীন। আদালতের পর্যবেক্ষণ অনুসারে, কেন্দ্রীয় সরকার যেহেতু ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে একচেটিয়া ক্রেতার ভূমিকায় আছে সেক্ষেত্রে কেন্দ্রই একমাত্র সবথেকে কম দামে ভ্যাকসিন কিনতে পারে। সংবিধানের ১৪ তম অনুচ্ছেদ বিরোধী বিদ্যমান স্বতন্ত্রিত টিকাদান নীতিমালার যৌক্তিকতা যাচাই করা আমাদের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলসমূহ যে আর্থিক সঙ্কটে ভুগছে তাদের ওপর এটি গুরুতর বোঝা চাপিয়ে দিতে পারে।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in