মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নির্বাচক প্যানেল থেকে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির নাম বাদ দেবার সরকারি প্রচেষ্টার প্রতিবাদ জানালো সিপিআইএম পলিটব্যুরো। শুক্রবার এক বিবৃতিতে পলিটব্যুরো এই প্রতিবাদ জানিয়েছে।
শুক্রবার এক ট্যুইট বার্তায় পলিটব্যুরোর বিবৃতি পোষ্ট করে সিপিআইএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, দেশের স্বশাসিত সংস্থাগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য মোদী সরকারের প্রচেষ্টা নিন্দনীয়। সংসদে যে বিল পেশ করা হয়েছে, সিপিআই(এম) এই বিলের তীব্র বিরোধিতা করবে। সিপিআইএম ভারতের সংবিধান রক্ষা ও সমুন্নত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সমস্ত দলকে এই বিলের বিরোধিতা করার জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছে।
পলিটব্যুরোর ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মোদি সরকার সুপ্রিম কোর্টের রায়কে অস্বীকার করে বিচার বিভাগের সাংবিধানিকভাবে বাধ্যতামূলক স্বাধীনতাকে যেভাবে ক্ষুন্ন করছে, সিপিআই(এম) পলিটব্যুরো দৃঢ়ভাবে তার নিন্দা জানায়।
ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের এক সাংবিধানিক বেঞ্চ তার রায়ে বলেছে যে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনারদের প্রধানমন্ত্রী, লোকসভার বিরোধী দলীয় নেতা এবং ভারতের প্রধান বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত একটি কমিটি দ্বারা নিয়োগ করা উচিত। মোদি সরকার এখন সংসদে এক বিল উত্থাপন করেছে। যেখানে ভারতের প্রধান বিচারপতির পরিবর্তে “প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক মনোনীত একজন কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট মন্ত্রী” ওই কমিটিতে থাকবে। যা নিশ্চিত করে যে নির্বাহী পরিষদের সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামত সর্বদাই প্রাধান্য পাবে। এতে নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা ও স্বাধীনতা নষ্ট হবে। প্রশাসনিক প্রভাব থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীন, “অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন” পরিচালনা করার জন্য ভারতের সংবিধান এক নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন বাধ্যতামূলক করেছে।
সিপিআইএম পলিটব্যুরো ওই বিবৃতিতে জানিয়েছে, দিল্লি সরকারের ক্ষমতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আরেকটি সাংবিধানিক বেঞ্চের রায় প্রত্যাখ্যান করার পরেই কেন্দ্রীয় সরকার এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। মোদি সরকার প্রথমে এই রায় বাতিল করে একটি অধ্যাদেশ জারি করে এবং পরবর্তীতে যা সংসদ দ্বারা আইন প্রণয়ন করা হয়।
ওই বিবৃতি জানাচ্ছে, রাজ্যের স্বাধীন সত্ত্বাগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য মোদী সরকারের এই প্রচেষ্টা অত্যন্ত জঘন্য। সংসদে যে বিল পেশ করা হয়েছে সিপিআই(এম) এই বিলের তীব্র বিরোধিতা করবে এবং ভারতের সংবিধান রক্ষা ও সমুন্নত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সমস্ত দলকে এই বিলকে পরাজিত করতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছে।
গতকাল এক ট্যুইট বার্তায় সীতারাম ইয়েচুরি এই বিল সম্পর্কে জানান, দিল্লি সরকারের ক্ষমতার বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের একটি রায় প্রত্যাখ্যান করার পরে, মোদী সরকার এখন প্রধানমন্ত্রীর দ্বারা নির্বাচিত একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সাথে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের বিষয়েও সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চের এক রায়কে অস্বীকার করতে চাইছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন