গত ৯ সেপ্টেম্বর যে কর্মসূচির ঘোষণা হয়েছিল মাত্র এক সপ্তাহেই সেই কর্মসূচিতে ব্যাপক সাড়া মিলেছে বলে জানালো সিপিআইএম। দলের পক্ষ থেকে ঘোষিত ‘নজরে পঞ্চায়েত’-এ ইতিমধ্যেই কয়েকশো অভিযোগ জমা পড়েছে। যার বেশিরভাগটাই এসেছে গ্রাম থেকে এবং অভিযোগের তীর মূলত তৃণমূলের নেতৃত্ব এবং জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে। সিপিআইএম সূত্র অনুসারে, গত এক সপ্তাহে প্রতি তিন মিনিটে গড়ে একটি করে ফোনকল এসেছে।
সিপিআইএম সূত্রে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহে প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত রাজ্যের সাধারণ মানুষ ফোন করে তাঁদের অভিযোগ জানিয়েছেন। প্রতিদিন ঘণ্টায় গড়ে ২০টি করে ফোন এসেছে এবং প্রায় ৩০জন স্বেচ্ছাসেবক সেই বক্তব্য লিপিবদ্ধ করেছেন। যদিও মূলত ‘নজরে পঞ্চায়েত’ নামে কর্মসূচী হলেও অভিযোগ জমা পড়েছে রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভা এবং শহরভিত্তিক বিধানসভা অঞ্চল থেকেও।
সিপিআইএম-এর দলীয় মুখপত্রে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুসারে এই অভিযোগের ৭৭ শতাংশ এসেছে গ্রামীণ অঞ্চল থেকে। যে অভিযোগের ৫৫ শতাংশই স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে। যার মধ্যে আছে তৃণমূল নেতাদের বেআইনি কার্যকলাপ, অত্যাচারের অভিযোগ। এছাড়াও পঞ্চায়েতে বা ব্লক স্তরে দুর্নীতির ভুরি ভুরি অভিযোগ জমা পড়েছে। এর পরিমাণ প্রায় ৪০ শতাংশ। এছাড়াও প্রায় ৫ শতাংশ অভিযোগ জমা পড়েছে পুলিশ ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে।
ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গ্রামীণ এলাকায় একশো দিনের কাজ বা জব কার্ড ইত্যাদি নিয়ে অভিযোগ ২৭ শতাংশ। গ্রামীণ উন্নয়ন প্রকল্পর টাকা তছরূপ এবং বিভিন্ন দুর্নীতি নিয়ে অভিযোগ এসেছে ৪২ শতাংশ। তৃণমূলের স্বজনপোষণ নিয়ে যে অভিযোগ জমা পড়েছে তার পরিমাণ প্রায় ১৩ শতাংশ। ঘরছাড়া, পুলিশি হয়রানি সংক্রান্ত অভিযোগ জমা পড়েছে প্রায় ১৪ শতাংশ।
গত ৯ সেপ্টেম্বর নজরে পঞ্চায়েত কর্মসূচির হেল্পলাইন ঘোষণা করে সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম জানিয়েছিলেন, মানুষের অভিযোগ নথিভুক্ত করে তার সত্যতা যাচাই করা হবে। এরপর অভিযোগের চরিত্র অনুযায়ী রাজনৈতিক লড়াই, প্রশাসনিক ব্যবস্থার জন্য দাবি জানানো অথবা প্রয়োজনে আদালতে আইনি লড়াইয়ের ব্যবস্থা করা হবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন