ট্রেন বন্ধ থাকবে। কিন্তু সরকারি ক্যাম্প চলবে। এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। রাজ্যে লোকাল ট্রেন চালালে করোনা ছড়াবে। কিন্তু শিবিরে ভিড় হলে করোনা ছড়াবে না! এমনই প্রশ্ন উঠছে, যার কোনও উত্তর নেই।
গত কয়েকদিন ধরে একের পর এক সরকারি প্রকল্পের শিবিরে মানুষের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা যাচ্ছে। সেই ভিড়ে কোনও করোনা বিধি মেনে চলার ব্যাপারই নেই। গত ৬ মে থেকে লোকাল ট্রেন বন্ধ। তারপর ধাপে ধাপে সেই বিধিনিষেধের মেয়াদ আরও বেড়েছে। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত লোকাল ট্রেন বন্ধ রাখার বিধিনিষেধ জারি হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, আজকের করোনা পরিস্থিতি ভালো। কিন্তু তিনি ট্রেন চালানোর অনুমতি দিচ্ছেন না। প্রায় সাড়ে চার মাস ধরে ট্রেন চলাচল না করায় জেলায় জেলায় বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। মুষ্টিমেয় কয়েকটি ট্রেন চালু রয়েছে। তাতে যে পরিমাণে ভিড় হয়েছে, তাতে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। রোজগারের ব্যবস্থা করতে, কর্মসংস্থান বাঁচাতে মানুষ সেই ট্রেনে যাতায়াতই বেছে নিয়েছেন।
অনেককেই অতিরিক্ত টাকা খরচ করে বাসে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত যা মনে করা হচ্ছে, তাতে পুজোর আগে ট্রেন স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা নেই। স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেনগুলিতে ভিড় লক্ষ্য করে রেল দফতর কিছু ট্রেন বাড়ানোর কথা বলেছিল। কিন্তু নবান্নের সম্মতির অপেক্ষা করতে করতে ক্লান্ত হয়ে শেষপর্যন্ত জনসাধারণের জন্য টিকিট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
রেল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রীকে বারবার ট্রেন বাড়ানোর কথা বলা হলেও তিনি তা শোনেননি। ফলে স্টাফ স্পেশাল ট্রেন আরও কয়েকটি করে বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আয় বাড়াতে কাউন্টার থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হয়। কিন্তু কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, তার সঠিক কোনও উত্তর নেই কারওর কাছেই।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন