২০২১-২২ আর্থিক বছরে দেশে জাল নোটের রমরমা বেড়েছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুসারে এই তথ্য জানা গেছে। শুক্রবার দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে। দেশে কারেন্সি ম্যানেজমেন্ট-এর অংশ হিসেবে জাল মুদ্রা শনাক্তকরণ করে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া।
শুক্রবার ২৭ মে আরবিআই-এর তরফে জানানো হয়েছে, বিভিন্ন মূল্যমানের নোটের মধ্যে সবথেকে বেশি বেড়েছে জাল ৫০০ টাকা। কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, গত বছরের তুলনায় ৫০০ টাকার ১০১.৯% বেশি জাল নোট এবং ২,০০০ টাকার ক্ষেত্রে ৫৪.১৬% জাল নোট বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরবিআই-এর রিপোর্টে জানানো হয়েছে, কারেন্সি নোটের মূল্যের হিসেবে, ৩১শে মার্চ, ২০২২ পর্যন্ত ৫০০ টাকা এবং ২০০০ টাকার ব্যাঙ্কনোটের শেয়ারের পরিমাণ ছিল মোট ব্যাঙ্কনোটের মূল্যের ৮৭.১%, যা ৩১ মার্চ, ২০২১ পর্যন্ত ছিল ৮৫.৭%৷ বাজারে কারেন্সি নোটের সংখ্যার ক্ষেত্রে, ৫০০ টাকার নোট সর্বাধিক বাজার দখল করেছে। যা বাজারে থাকা মোট নোটের ৩৪.৯ শতাংশ। এরপরেই বাজারে আছে ১০ টাকার ব্যাঙ্কনোট। যা ৩১ মার্চ, ২০২২ পর্যন্ত প্রচলন থাকা মোট ব্যাঙ্কনোটের ২১.৩%।
গত বছরের তুলনায়, ১০ টাকা, ২০ টাকা, ২০০ টাকা, ৫০০ টাকা (নতুন ডিজাইন) এবং ২০০০ টাকার ক্ষেত্রে জাল নোট বেড়েছে যথাক্রমে ১৬.৪%, ১৬.৫%, ১১.৭%, ১০১.৯% এবং ৫৪.৬%। RBI জানিয়েছে, ৫০ এবং ১০০ টাকার মূল্যমানের জাল নোট যথাক্রমে ২৮.৭% এবং ১৬.৭% কমেছে।
প্রসঙ্গত, ৮ নভেম্বর ২০১৬ রাতে যখন আচমকাই দেশের প্রধানমন্ত্রী ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিলের কথা ঘোষণা করেছিলেন থমকে গেছিলো গোটা দেশ। নোট বাতিলের কারণ বলতে গিয়ে সেদিন প্রধানমন্ত্রী যা যা বলেছিলেন, আজ প্রায় সাড়ে পাঁচ বছর পর দেশে সেগুলো যে কমেনি তা আরবিআই—এর তথ্য থেকেই প্রমাণিত। সেদিন তিনি বলেছিলেন জাল নোট বন্ধ করা, কালো টাকা ধ্বংসের কথা, সন্ত্রাসবাদীদের ফান্ডিং বন্ধ করার জন্য নোটবাতিল। যদিও সাড়ে পাঁচ বছর ২০২২-এর মাঝামাঝি সময় দাঁড়িয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তথ্য জানাচ্ছে দেশে জাল টাকার ব্যবহার কমার বদলে দিনদিন বেড়েছে চলেছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন