৭ম বেতন কমিশন বাস্তবায়িত হওয়ার পর কেন্দ্রীয় সরকারী কর্মচারীদের প্রাপ্য মহার্ঘভাতা ১.৭.১৬ - ২%, ১.১.১৭ - ২%, ১.৭.১৭ - ১%, ১.১.১৮ - ২%, ১.৭.১৮ - ২%, ১.১.১৯ - ৩%, ১.৭.১৯ - ৫%, ১.৭.২১ - ১১% (১.১.২০ থেকে ১.১.২১ র বকেয়া), ১.৭.২১ - ৩%। মোট - ৩১%। বৃহস্পতিবার রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকারী কর্মচারীদের প্রাপ্ত মহার্ঘভাতা প্রসঙ্গে একথা জানিয়েছেন রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিজয় শংকর সিংহ।
কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের পাশপাশি রাজ্য সরকারি কর্মচারিদের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি ওই বিবৃতিতে জানান, ষষ্ঠ বেতন কমিশন দীর্ঘ টালবাহানার শেষে চালু হওয়ার পর রাজ্য সরকারী কর্মচারীদের প্রাপ্ত মহার্ঘভাতা ১.১.২১ তারিখে মাত্র ৩%। এখনও পর্যন্ত মোট বকেয়ার পরিমাণ - (৩১%-৩%) = ২৮%।
সিংহ জানান, যখন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম আকাশছোঁয়া, পেট্রোপণ্যের মূল্যের সীমাহীন বৃদ্ধি, সেই মুহূর্তে রাজ্য কর্মচারীদের প্রতিনিয়ত বেতন হ্রাস এবং পাহাড় প্রমাণ বঞ্চনার কথাই এই ঘটনায় প্রমাণ হয়।
রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটির পক্ষ থেকে রাজ্য সরকারের কাছে কেন্দ্রীয়হারে মহার্ঘভাতা দেওয়ার দাবি জানানোর পাশাপাশি তিনি জানান, ইতিমধ্যে গত ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১ আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে বকেয়া মহার্ঘভাতা দেওয়ার দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি (স্মারকলিপি) দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে বকেয়া মহার্ঘভাতার পরিমাণ আরো ৩% বৃদ্ধি পেল।
সাধারণ সম্পাদক আরও জানান, সরকার যদি এই প্রাপ্য বকেয়া মহার্ঘভাতা দেওয়ার কোন সদিচ্ছা না দেখায় তাহলে সরকারী কোষাগার থেকে প্রাপ্ত বেতনভুক কর্মচারীরা বৃহত্তর আন্দোলন সংগ্রামের পথে নামতে বাধ্য হবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন