দিল্লিতে ১৪০ জনেরও বেশি গৃহহীন মানুষ এখন পর্যন্ত চরম ঠাণ্ডার কারণে মারা গেছেন। সেন্টার ফর হলিস্টিক ডেভেলপমেন্ট (সিএইচডি) এর নির্বাহী পরিচালক সুনীল কুমার আলেদিয়া এমনটাই দাবি করেছেন। তিনি বলেন – “এখন পর্যন্ত, দিল্লিতে ১৪৫ জন গৃহহীন মানুষ মারা গেছেন। শুধুমাত্র গত সপ্তাহেই ঠান্ডাজনিত কারণে ৩৯ জন গৃহহীন মানুষ মারা গেছে। তারা সম্ভবত কোনো সরকারি বাড়িতে আশ্রয় পায়নি। এই ধরনের লোকেরা রাস্তার ধারে বা দোকানের বাইরে রাত কাটায়।”
CHD সমীক্ষা করে দেখেছে যে - কাশ্মীরি গেট, যমুনা পুস্তা, নিগমবোধ ঘাট, যমুনা বাজার, চাঁদনি চক, দিল্লি গেট, আসাফ আলি রোড, জামা মসজিদ, নিজামুদ্দিন,আজাদপুর, ওখলা, বদলি, কিংসওয়ে ক্যাম্পের আশেপাশে প্রচুর সংখ্যক মানুষ খোলামেলা ঘুমায়।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী দিল্লিতে ৪৬,৭২৪ জন গৃহহীন লোক রয়েছে। তবে একটি অলাভজনক সংস্থা ‘হাউজিং অ্যান্ড ল্যান্ড রাইটস নেটওয়ার্ক’-র তথ্য অনুসারে প্রায় ১.৫-২ লক্ষ গৃহহীন মানুষ আছেন দিল্লিতে। এঁদের মধ্যে প্রায় ১০ হাজার জন মহিলা গৃহহীনও আছেন। দিল্লি আরবান শেল্টার ইমপ্রুভমেন্ট বোর্ড (DUSIB)-এর প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণে ৩০৮ টি আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে। মূলত গৃহহীনদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য এগুলো তৈরি। দিল্লি শেল্টার বোর্ডের সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, এই বাড়িগুলি ৯,৩৩০ জনকে আশ্রয় দিতে পারে। রোববার রাত পর্যন্ত প্রায় ৮,২০০ জন গৃহহীন মানুষ এসব আশ্রয়কেন্দ্রে রাত কাটাচ্ছেন।
CHD দিল্লি সরকারকে শীঘ্রই যথাযথ ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ করেছে, যাতে শহুরে গৃহহীনদের জন্য ‘National Urban Livelihoods Mission’ প্রকল্পের নির্দেশিকা মেনে চলা হয়। এই প্রকল্পের অধীনে ১ লক্ষের অধিক জনসংখ্যা আছে এমন শহরে অন্তত ১০০ জনের জন্য আশ্রয় কেন্দ্র গড়তে হবে সরকারকে।
অন্যদিকে, সিএইচডি-র তথ্য প্রত্যাখ্যান করে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ডিইউএসআইবি কর্মকর্তা সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেছেন: “ঠান্ডাজনিত কারণে কোনও মৃত্যু হয়নি। গৃহহীন মানুষ দুর্ঘটনায়, এবং ড্রাগ-সম্পর্কিত সমস্যার কারণে মারা যায়।”
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন