অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে প্রত্যাশার তুলনায় ব্যর্থতাই বেশি কেন্দ্রীয় সরকারের। সম্প্রতি এক সমীক্ষায় উত্তরদাতাদের ৩৮ শতাংশই জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নরেন্দ্র মোদির অধীনে বর্তমান সরকার এবং অর্থমন্ত্রী হিসাবে নির্মলা সীতারামন এখনও পর্যন্ত অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে প্রত্যাশার অনুপাতে খারাপ কাজ করেছে৷ গত ২৩ থেকে ২৮ জানুয়ারি, ২০২২ সময়ের মধ্যে প্রায় ৩০০০ জনের বেশি নাগরিকের মধ্যে এই সমীক্ষা চালানো হয়েছে।
IANS-CVoter-এর প্রাক বাজেট সমীক্ষা অনুসারে, ৫৭.৪ শতাংশ উত্তরদাতা জানিয়েছেন, গত এক বছরে তাঁদের আয় কমেছে এবং খরচ বেড়েছে। ২০ শতাংশর মতে আয় একই আছে এবং খরচ বেড়েছে। অন্যদিকে ১১.৫ শতাংশ জানিয়েছেন, আয় বাড়লেও খরচ বেড়েছে।
ওই সমীক্ষায় ৩৬.৪ শতাংশ মনে করেন আর্থিক ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের কাজ প্রত্যাশা অনুসারে ঠিক আছে। অন্যদিকে ২৫.৬ শতাংশ জানাচ্ছেন, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে প্রত্যাশার চেয়ে অনেক ভাল কাজ করেছে সরকার।
IANS-CVoter-এর প্রাক বাজেট সমীক্ষা অনুসারে, বেশিরভাগ উত্তরদাতারা জানিয়েছেন, গত বছরের তুলনায় বর্তমান বছরে খরচ পরিচালনা করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সমীক্ষায় ৬৫.৭ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন, গত বছরের তুলনায় বর্তমান বছরে খরচ সামলানো করা কঠিন হয়ে পড়েছে। ২৬.৯ শতাংশর মতে খরচ বাড়লেও তা এখনও পরিচালনাযোগ্য। অন্যদিকে ৭.৪ শতাংশ জানিয়েছেন, গত বছরের তুলনায় এবছর খরচ কমে গেছে।
IANS-CVoter-এর প্রাক বাজেট সমীক্ষা অনুসারে, আগামী এক বছরে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে কিনা তা নিয়েও মতামত দ্বিধাবিভক্ত। যেখানে ৩৭.৭ শতাংশ আশা করেন জীবনের মান উন্নত হবে এবং ৩১ শতাংশ বলেছেন এটি একইরকম থাকবে। অন্যদিকে ৩১.৩ শতাংশর ধারণা এটি আরও খারাপ হবে।
IANS-CVoter প্রাক বাজেট সমীক্ষায় ৬২.৪ শতাংশ উত্তরদাতা জানিয়েছেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা হয়নি এবং মোদী সরকারের সময় জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে।
কেন্দ্রীয় বাজেটের এক দিন আগে প্রকাশিত হওয়া এই সমীক্ষা রিপোর্ট জানাচ্ছে, সাধারণ মানুষ মুদ্রাস্ফীতি, জীবনযাত্রার মান এবং আয়ের বিষয়ে লড়াই চালাচ্ছেন।
সমীক্ষায় ২৭.৫ শতাংশ উত্তরদাতা জানিয়েছেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অধীনে জিনিসপত্রের দাম কমেছে। যেখানে ১০.১ শতাংশর দাবি, কিছুই পরিবর্তন হয়নি এবং দাম একই রয়ে গেছে।
অন্য এক প্রশ্নে, ৪৯.৩ শতাংশ জানিয়েছেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে গত এক বছরে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মানের উপর 'অত্যধিক' বিরূপ প্রভাব ফেলেছে।
৪২.৩ শতাংশ জানিয়েছেন, মুদ্রাস্ফীতির কারণে সাধারণ মানুষের ওপর সামস্ন্য বিরূপ প্রভাব পড়েছে। অন্যদিকে ৮.৩ শতাংশ বলেছেন, গত এক বছরে জীবনযাত্রার মানের উপর মুদ্রাস্ফীতির কোনও প্রভাব পড়েনি।
এই সমীক্ষা থেকে উঠে আসা তথ্য অনুসারে ৪২.৪ শতাংশ মনে করেন "আম আদমি" বা সাধারণ মানুষের জীবনের সামগ্রিক মান গত এক বছরে খারাপ হয়েছে। যদিও ৩২.৮ শতাংশ জানিয়েছেন এটি একই রয়ে গেছে এবং ২৪.৮ শতাংশ মনে করেন গত এক বছরে জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন