Electoral Bonds: আইন লঙ্ঘন করে ১০৩ কোটির ইলেক্টোরাল বন্ড কিনেছিল ২০ সংস্থা

People's Reporter: আইন অনুসারে গঠিত হবার তিন বছরের মধ্যে কোনও সংস্থা ইলেক্টোরাল বন্ড বা অন্য কোনও মাধ্যম ব্যবহার করে কোনও রাজনৈতিক দলকে অনুদান দিতে পারে না।
ছবি প্রতীকী
ছবি প্রতীকীফাইল ছবি, দ্য প্রিন্টের সৌজন্যে
Published on

ইলেক্টোরাল বন্ডের প্রকাশিত তথ্য অনুসারে কমপক্ষে ২০টি সদ্য গঠিত সংস্থা প্রায় ১০৩ কোটি টাকার ইলেক্টোরাল বন্ড কিনেছিল। আইন অনুসারে গঠিত হবার তিন বছরের মধ্যে কোনও সংস্থা ইলেক্টোরাল বন্ড বা অন্য কোনও মাধ্যমে কোনও রাজনৈতিক দলকে অনুদান দিতে পারে না। দ্য হিন্দু-তে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে একথা জানানো হয়েছে। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ইলেক্টোরাল বন্ড সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য প্রকাশ করেছে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া এবং এরপর এই সমস্ত তথ্য নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে জনসাধারণের জন্য প্রকাশ করা হয়েছে।

দ্য হিন্দুর প্রতিবেদন অনুসারে ইলেক্টোরাল বন্ড কেনার সময় এই সংস্থাগুলির মধ্যে কমপক্ষে ৫টি সংস্থার বয়স ১ বছরের কম ছিল। ৭টি সংস্থার বয়স ছিল ১ বছর এবং ৮টি সংস্থা দু’বছর পূর্ণ করেছিল।

তথ্য অনুসারে, ২০১৯ সালে মন্দার সময় অথবা কোভিড মহামারীর সময় এই সমস্ত সংস্থা নথিবদ্ধ হয়েছিল। যদিও চরম অর্থনৈতিক সঙ্কটের সময় গঠিত হওয়া এইসব সংস্থাই কয়েক বছরের মধ্যে কোটি কোটি টাকার নির্বাচনী বন্ড কেনে।

এই বিষয়ক আইন অনুসারে কোনও সংস্থা গঠিত হবার তিন বছরের মধ্যে কোনও রাজনৈতিক দলকে কোনও অনুদান দিতে পারবে না। গত চার দশক ধরেই এই নিয়ম জারি আছে। দ্য কোম্পানীজ অ্যাক্ট ২০১৩-র ধারা ১৮২ অনুসারে কোন সংস্থা কমপক্ষে তিনটি আর্থিক বছর অতিক্রম না করলে তারা কোনও রাজনৈতিক দলকে অনুদান দিতে পারবে না। তিন বছর পেরিয়ে গেলে যে কোনও সংস্থা এই অনুদান দিতে পারে। ১৯৮৫ সালে সংসদে এক সংযোজন ধারা ২৯৩-এ-র মাধ্যমে এই নিয়ম জারি হয়েছিল।

অতীতে নিয়ম ছিল কোনও সংস্থা তাদের তিন বছরের গড় নীট মুনাফার ৭.৫ শতাংশ পর্যন্ত অনুদান দিতে পারবে। যদিও ২০১৭ সালে দ্য ফিনান্স অ্যাক্ট-এ সংশোধনী এনে এই নিয়ম তুলে দেওয়া হয়। এর পরেই চালু হয় ইলেক্টোরাল বন্ড। যদিও তিন বছর সংক্রান্ত নিয়ম জারি থাকে। এই সংশোধনী আনার পরে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকেও এই বিষয়ে সতর্ক করে বলা হয়েছিল, এর ফলে বিভিন্ন শেল কোম্পানীর মাধ্যমে কালো টাকা রাজনৈতিক দলকে অনুদান দিয়ে সাদা করার প্রবণতা দেখা দিতে পারে।

আইন অনুসারে, "যদি কোন কোম্পানি এই ধারার বিধান লঙ্ঘন করে কোন অনুদায় দেয়, সেক্ষেত্রে সেই কোম্পানিকে জরিমানা করা যেতে পারে, যা অনুদানের অঙ্কের পাঁচগুণ পর্যন্ত হতে পারে এবং কোম্পানির প্রত্যেক কর্মকর্তা যারা এই খেলাপির সঙ্গে যুক্ত থাকবেন তাদের জরিমানা এবং ছয় মাস পর্যন্ত কারাদন্ড হতে পারে।

এই তালিকা অনুসারে টিসার্কস ওভারসীজ এডুকেশন কনসালটেন্সি এবং টিসার্কস ইনফ্রা ডেভেলপার্স প্রাইভেট লিমিটেড স্থাপিত হয়েছে যথাক্রমে ২৯মে, ২০২৩ ও ২৬ মার্চ ২০২৩। এই দুই সংস্থাই প্রথম ইলেক্টোরাল বন্ড কেনে ওই বছরের ১২ জুলাই।

বাসবী এভেনিউ এলএলপি স্থাপিত হয়েছে ২০২৩-এর ৬ এপ্রিল এবং প্রথম ইলেক্টোরাল বন্ড কেনে ওই বছরের ১২ জুলাই।

এই তালিকায় থাকা মোট ২০টি সংস্থার মধ্যে ১২টি সংস্থা হায়দারাবাদের এবং ১টি বেঙ্গালুরুর। এছাড়া বাকি সংস্থাগুলি যথাক্রমে কোয়াম্বাটোর, ফরিদাবাদ, কামরূপ, কানপুর, মুম্বাই, কলকাতা এবং রাঁচির।

এই বন্ডগুলি থেকে বিআরএস ৩১.৫ কোটি, বিজেপি ২৬ কোটি, তৃণমূল ৯.৫ কোটি, আরজেডি ৯ কোটি, কংগ্রেস ৮ কোটি, ডিএমকে ৭ কোটি, টিডিপি ৬ কোটি, বিজেডি ৫ কোটি, আম আদমি পার্টি ১ কোটি টাকা পেয়েছে।

ছবি প্রতীকী
RS Criminal Cases: রাজ্যসভার ৪০ শতাংশ সাংসদের নামে চলছে ফৌজদারি মামলা - ADR রিপোর্ট
ছবি প্রতীকী
Parakala Prabhakar: বিজেপি জিতলে দেশে আর নির্বাচনই হবে না! ফের বিস্ফোরক নির্মলা সীতারমনের স্বামী

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in