লকডাউন ওঠার পরেও অসংগঠিত ক্ষেত্রের প্রায় ১৫ শতাংশ শ্রমিক এখনও কর্মহীন

আজিম প্রেমজি ইউনিভার্সিটির করা এক সমীক্ষায় এই তথ্য উঠে এসেছে। ২০২০ সালের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর সময়সীমার মধ্যে এই সমীক্ষাটি করা হয়েছে।
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবিছবি সৌজন্য - ন্যাশনাল হেরাল্ড
Published on

লকডাউনে পর থেকে অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের বেশিরভাগই এখনও বেকার। আজিম প্রেমজি ইউনিভার্সিটির করা এক সমীক্ষায় এই তথ্য উঠে এসেছে। ২০২০ সালের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর সময়সীমার মধ্যে এই সমীক্ষাটি করা হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে, প্রত্যেক অসংগঠিত ক্ষেত্রে প্রত্যেক ৫ শ্রমিকের মধ্যে ১ জন শ্রমিক কাজ হারিয়েছেন।

সমীক্ষায় উঠে এসেছে, গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে যারা কর্মরত ছিলেন, তাদের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশের বেশি (৬৯ শতাংশ)শ্রমিক নিজেদের কাজ হারিয়েছেন লকডাউনের সময়ে। এর ৬ মাস পরে ২০ শতাংশের কাছাকাছি শ্রমিকের কাছে কাজ ছিলোনা। এমনকি তাঁদের কাছে মাসে এক দিনের জন্যও কোনও কাজ ছিলনা।

লকডাউনের সময় করা প্রথম ধাপের সমীক্ষায় ৫ হাজারের বেশি মানুষ অংশগ্রহণ করেছিলেন। তাদের বেশিরভাগই অসংগঠিত ক্ষেত্রের ও গরিব পরিবারের মানুষ। লকডাউন উঠে যাবার পর দ্বিতীয় ধাপটিতে ২ হাজার ৭৭৮ জন মানুষ সমীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন।

প্রত্যেক ১০০ জন শ্রমিকের মধ্যে ২৬ জন লকডাউনের ফলে তেমন ক্ষতিগ্রস্ত হননি। ৫৫ জন নিজেদের কাজ পুনরায় ফিরে পেয়েছেন। কিন্তু ১৫ জন এখনও লকডাউনের প্রভাবের থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি। তার মানে এরা এখনও কর্মহীন। পুরুষ শ্রমিকদের থেকেও মহিলা শ্রমিকদের বেকারত্বের হার আরও খারাপ। বিশেষত, শহরাঞ্চলের মহিলা শ্রমিকদের অবস্থা শোচনীয়। ৫৭% শতাংশ পুরুষ এবং ৫৩ শতাংশ মহিলা তাঁদের কাজ ফিরে পেয়েছেন বলে উঠে এসেছে ওই সমীক্ষায়।

ওই সমীক্ষা থেকে উঠে আসা তথ্য অনুসারে – অতিমারীর কারণে অর্থনীতিতে যে ধাক্কা এসেছিলো তা এখনও সম্পূর্ণ পূরণ করা যায়নি।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in