অর্থনৈতিকভাবে দুর্বলদের জন্য (Economically Weaker Sections বা EWS) কলেজ ও সরকারী চাকরিতে ১০ শতাংশ সংরক্ষণের পক্ষেই রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। এই মামলায় অংশ নেওয়া ৫ বিচারপতির মধ্যে ৩ জনই মনে করেন, EWS কোটা বৈষম্যমূলক নয়। এটি বৈধ এবং এটি সাংবিধানিক কাঠামো পরিবর্তন করে না।
বিচারপতিদের মতে, এই কোটার মাধ্যমে ভারতীয় সমাজে বসবাসকারী ঐতিহ্যবাহী প্রান্তিক সম্প্রদায় যেমন তফসিলি জাতি, তফসিলি উপজাতি (এসসি/এসটি) এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণী (ওবিসি)-রা উপকৃত হবেন।
২০১৮ সালের শেষে মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান এবং ছত্রিশগড়ে বিধানসভা নির্বাচনে তিন রাজ্যেই তৎকালীন ক্ষমতাসীন দল বিজেপির পরাজয় হয়েছিল। এরপরই তড়িঘডি করে লোকসভা নির্বাচনের আগেই ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে সংবিধানের ১০৩ তম সংশোধনীর মাধ্যমে EWS কোটা চালু করেছিল কেন্দ্রের মোদী সরকার। তৎক্ষণাৎ সুপ্রিম কোর্টে এই নিয়মকে চ্যালেঞ্জ জানানো হয়। পিটিশনে বলা হয়েছিল, এই নিয়ম চালু হলে তা ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট দ্বারা নির্ধারিত ৫০ শতাংশ সংরক্ষণের জাতীয় সীমাকে লঙ্ঘন করে। পাশাপাশি এটি সংবিধানের মূল কাঠামোকেও পরিবর্তন করবে।
প্রধান বিচারপতি উমেশ ললিতের নেতৃত্বে গঠিত ৫ সদস্যের বেঞ্চে আজ এই মামলার শুনানি ছিল। বাকি চার বিচারপতি হলেন - বিচারপতি দীনেশ মহেশ্বরী, বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভট্ট, বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী এবং বিচারপতি জেবি পাদ্রিওয়ালা। এঁদের মধ্যে প্রধান বিচারপতি এবং বিচারপতি রবীন্দ্র ভট্ট এই কোটার বিপক্ষে ছিলেন। বিচারপতি ভট্ট বলেন, 'এই কোটা থেকে তফসিলি জাতি/তফসিলি উপজাতি, অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণী (ওবিসি) এর মতো শ্রেণীগুলি বাদ দেওয়া অসাংবিধানিক।' ভট্টের এই মন্তব্যের পরই প্রধান বিচারপতি বলেন, "আমিও বিচারপতি ভট্টের মতামতের সাথে একমত৷ তাহলে ফলাফল ৩:২-এ দাঁড়িয়েছে।"
এরপরই সংখ্যাগরিষ্ঠতার বিচারে সংরক্ষণের পক্ষে রায় ঘোষণা করা হয়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন