সংসদে তিনটি বিতর্কিত কৃষি আইন বাতিলের বিল পাশ হবার একদিন পরে, সরকার মঙ্গলবার আন্দোলনকারী কৃষকদের কাছে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য সম্পর্কিত পরবর্তী আলোচনার জন্য গঠিত কমিটিতে পাঁচজনের নাম চেয়েছে।
দীর্ঘ ১ বছর ধরে আন্দোলন পরিচালনা করা সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সরকারের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এখনও করা হয়নি। যদিও এদিন সন্ধ্যায় সরকারের পক্ষ থেকে পাঞ্জাব কৃষক ইউনিয়নের এক নেতাকে একটি ফোন কলের মাধ্যমে কমিটির জন্য এসকেএমের পক্ষ থেকে পাঁচটি নাম প্রস্তাব করতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা।
সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আমরা এখনও লিখিত আকারে এই ধরণের কোনো আবেদন পাইনি এবং এই কমিটি কী, এই কমিটি কোন বিষয়ে আলোচনা করবে বা তার শর্তাবলী কী হবে সে সম্পর্কে কোন বিশদ তথ্য পাওয়া যায়নি। ফলে এই বিষয়ে চটজলদি মন্তব্য করা ঠিক হবে না।
প্রসঙ্গত, গত ১৯ নভেম্বর কেন্দ্রীয় সরকার তিনটি কৃষি আইন বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঘোষণা করার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আরও জানিয়েছেন, কেন্দ্র, রাজ্য সরকার, কৃষক প্রতিনিধি, কৃষি বিজ্ঞানী এবং কৃষি অর্থনীতিবিদদের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হবে। যে কমিটি ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি) আরও কার্যকর করা যেতে পারে, কীভাবে শূন্য বাজেটে চাষের প্রচার করা যেতে পারে এবং কীভাবে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ফসলের ধরণ পরিবর্তন করা যেতে পারে সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
যদিও এদিন সন্ধ্যে পর্যন্ত, আন্দোলনরত কৃষকরা এই ইস্যুতে বিভক্ত বলে মনে হয়েছিল। কারণ দিল্লির উপকণ্ঠে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার সদর দপ্তরের সীমান্ত ক্যাম্প থেকে পরস্পরবিরোধী মন্তব্য এসেছিলো।
এসকেএম নেতৃত্বের অন্যতম, দর্শন পাল একসময় জানিয়েছিলেন এমএসপি কমিটিতে এসকেএম-এর পাঁচটি নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য কেন্দ্রের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছিলো। যদিও অন্যান্য কৃষক নেতৃত্ব জানিয়েছেন, সরকারের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও কোনও আনুষ্ঠানিক আবেদন আসেনি।
এর আগে এসকেএম জানিয়েছিলো, কৃষক আন্দোলনের যৌথ মঞ্চ তিন কৃষি আইন আনুষ্ঠানিকভাবে বাতিল হওয়ার জন্য এবং সরকারিভাবে এমএসপির আইনি অবস্থানের জন্য অপেক্ষা করবে।
তিন কৃষি আইন বাতিলের মূল দাবি ছাড়াও - তাদের সমস্ত দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কৃষকরা তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা আগেই জানিয়েছে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা। এই দাবিগুলির মধ্যে রয়েছে এক বছরের বেশি সময় ধরে চলা আন্দোলনের সময় কৃষকদের বিরুদ্ধে দায়ের করা সমস্ত মামলা প্রত্যাহার।
ইতিমধ্যেই এসকেএম স্পষ্ট করেছে যে তারা সমস্ত পরিস্থিতি পর্যালোচনা করবে এবং ৪ ডিসেম্বর কৃষকদের সংগ্রামে পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেবে।
এদিন এসকেএম-এর বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, "এসকেএমের বৈঠকের তারিখ অপরিবর্তিত রয়েছে। এই বৈঠক সিঙ্ঘু সীমান্তে হবে। এই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিতে উত্থাপিত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে এবং ভবিষ্যতে আন্দোলন কোন পথে যাবে সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।"
- with Agency Inputs
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন