আরও এক চিতার মৃত্যু দেখল মধ্যপ্রদেশের কুনো ন্যাশনাল পার্ক। বুধবার সকালে আরও এক চিতার মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছে ওই সংরক্ষিত বন কর্তৃপক্ষ। এই নিয়ে কুনো ন্যাশনাল পার্কে শেষ পাঁচ মাসের মধ্যে ৯টি চিতার প্রাণহানি হল, যার মধ্যে তিনটি চিতাশাবকও রয়েছে।
এদিন সকালে কুনো ন্যাশনাল পার্ক কর্তৃপক্ষ একটি বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে, "বুধবার সকালে ধাত্রী নামক এক পূর্ণবয়স্ক স্ত্রী চিতার মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে। মৃত্যুর কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। কর্তৃপক্ষের তরফে মৃত্যুর কারণ জানা জন্য ময়না তদন্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।"
ওই বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, "একটি নির্দিষ্ট জায়গার মধ্যে সাতটি পুরুষ চিতা, ছটি স্ত্রী চিতা ও একটি স্ত্রী চিতাশাবককে রাখা হয়েছে। তারা পুরোপুরি সুস্থ এবং তাদের স্বাস্থ্যের উপর কুনো ন্যাশনাল পার্ক কর্তৃপক্ষ ও নামিবিয়ার বিশেষজ্ঞরা নিয়মিত নজর রাখছেন। দুটি স্ত্রী চিতাকে জঙ্গলের মধ্যে ছাড়া হয়েছিল, যাদের মধ্যে একজনের মৃতদেহ আজ সকালে উদ্ধার করা হয়েছে।"
প্রসঙ্গত, গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসেই কেন্দ্রের চিতা পুনঃপ্রবর্তন প্রকল্পের আওতায় নামিবিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ২০টি পূর্ণবয়স্ক চিতাকে মধ্যপ্রদেশের কুনো ন্যাশনাল পার্কে আনা হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজে সেই চিতাদের মধ্যপ্রদেশের জঙ্গলে মুক্তি দিয়েছিলেন। তারপর থেকে সেখানে আরও চারটি চিতাশাবক এর জন্ম হয়েছে। কিন্তু শেষ পাঁচ মাসে ৯টি চিতা মারা যায়, যার মধ্যে ছিল তিনটি চিতাশাবকও। উল্লেখ্য, গত মাসেই মাত্র তিন দিনের ব্যবধানে মারা যায় দুটি পূর্ণবয়স্ক পুরুষ চিতা। গত ১১ জুলাই উদ্ধার হয় তেজাস ও ১৪ জুলাই উদ্ধার হয় সূর্য-এর মৃতদেহ।
বিশেষজ্ঞদের একাংশ চিতাগুলির এই মৃত্যুর পিছনে তাদের গলায় ব্যবহৃত নিম্নমানের রেডিও কলারকেই দায়ী করেছেন। যদিও কুনো ন্যাশনাল পার্ক কর্তৃপক্ষ ও সরকারের তরফে এইসব দাবি উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সরকারের মতে, বৈজ্ঞানিক প্রমাণ ছাড়াই জল্পনা তৈরি হচ্ছে। চিতাগুলির মৃত্যুতে সরকারের তরফে সব ত্রুটি অস্বীকার করা হয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন