টাইমস অফ ইন্ডিয়ার করা এক ট্যুইট অনুসারে সিঙ্ঘু, গাজীপুর, টিকরি, মুকারবা চক, নাংলোই, যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে প্রভৃতি অঞ্চলে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা।
অন্য এক সূত্র অনুসারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে কিছু অঞ্চলে ২৬ জানুয়ারি রাত ২৩.৫৯ মিনিট পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে।
মধ্যপ্রদেশের রেওয়া এবং সাতনা জেলায় কৃষক আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে বড়ো মিছিল করলেন কৃষকরা। রেওয়ার কৃষি মান্ডি থেকে এস এফ স্কোয়ার পর্যন্ত এই প্যারেড হয়। কোনোরকমের প্রশাসনিক অনুমতি না পাওয়া গেলেও জাতীয় পতাকা তুলে কৃষকরা এই প্যারেডের সূচনা করেন।
অন্যদিকে সাতনার রামপুর অঞ্চলেও কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে মিছিল করেন কৃষকরা।
সিকরিতে লাঠি চালিয়ে থামানো হল ট্র্যাক্টর প্যারেড। গতকাল রাতে জানানো হয়েছিলো এই প্যারেড ৪৫ কিলোমিটার দূরের বদরপুর পর্যন্ত যেতে দেওয়া হবে। কৃষক নেতৃত্বের অভিযোগ এদিন সিকরিতেই ট্র্যাক্টর র্যালি আটকে দেওয়া হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে ট্র্যাক্টরের হাওয়া খুলে দেওয়া হয়। পুলিশি লাঠিচার্জে এক ডিওয়াইএফআই নেতা সহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার ট্রাক্টর মিছিলে টিয়ার গ্যাস শেলে আক্রান্ত রাজ্যসভার সিপিআই(এম) সাংসদ তথা বিশিষ্ট আইনজীবি বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
দিল্লির আইটিও অঞ্চলে পুলিশের কাছে বাধা পেয়ে বেশ কিছু ট্র্যাক্টর লাল কেল্লা অঞ্চলে চলে আসে। সেখানেই ঐতিহাসিক সৌধে কৃষক আন্দোলনের কিছু ফ্ল্যাগ লাগিয়ে দেওয়া হয়।
এর আগে আন্দোলনরত কৃষকরা আইটিও অঞ্চলে পুলিশের কাছে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনায় পুলিশ আন্দোলনকারীদের হটিয়ে দিতে লাঠিচার্জ করে এবং কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায়।
প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই তামিলনাড়ুর সালেমে কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে মিছিল করলো এআইকেএসসিসি। তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবীতে এক বিরাট মিছিল সালেমের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে রাস্তা অবরোধ করে। এদিন ট্রাক্টর মিছিলের জন্য তামিলনাড়ু প্রশাসনের কাছে অনুমতি চাওয়া হলেও সেই অনুমতি পাওয়া যায়নি। যার নিন্দায় সরব হয়েছে বিভিন্ন শ্রমিক ও কৃষক সংগঠন।
উত্তরপ্রদেশের গাজীপুর সীমান্তে আন্দোলনরত কৃষকরা পুলিশি ব্যারিকেড ভেঙে ফেলার পর ব্যাপক হারে টিয়ার গ্যাস এবং লাঠি চার্জ করার খবর পাওয়া গেছে। কৃষকদের এই দল অক্ষরধাম মন্দিরের দিকের রাস্তা ধরে যাচ্ছিলো। মিছিলের পথ আটকানোর জন্য রাস্তায় আড়াআড়ি ভাবে বাস দাঁড় করিয়ে দেবার অভিযোগ উঠেছে। মিছিলকারীরা এই বাস রাস্তার একধারে সরিয়ে দেবার পরেই তাঁদের ওপর পুলিশ লাঠিচার্জ করে।
ঘটনাস্থলে পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বিকেইউ নেতা রাকেশ টিকায়েত। তাঁর অভিযোগ মিছিলের নির্ধারিত পথে বাধা সৃষ্টি করছে পুলিশ। কৃষকদের প্ররোচিত করছে। তিনি মিছিলকারীদের কোনো প্ররোচনায় পা না দিতে আবেদন জানান।
অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনম, কুরনুল, বিজয়াদা, প্রকাশম, পূর্ব গোদাবরী সহ অন্যান্য জেলায় কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে ট্রাক্টর প্যারেড শুরু হয়েছে। এদিন রাজ্যের ১৩ টি জেলায় ৩০টি আলাদা ট্র্যাক্টর প্যারেডের কর্মসূচী নেওয়া হয়েছে।
অন্ধ্রপ্রদেশ রায়তু সংঘম-এর নেতা ওয়াই কেশব রাও জানিয়েছেন এদিনের কৃষক আন্দোলনের সংহতি মিছিলে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ যোগ দিয়েছেন। এই আন্দোলনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছে বিভিন্ন ট্রেড ইউনিয়ন, বাম রাজনৈতিক দলসমূহ। তাঁর আরও বক্তব্য – মোদী সরকার কতক্ষণ এসব দেখে চোখ বন্ধ করে থাকবে?
কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে তামিলনাড়ুর কুড্ডালোর, কোভাই, সালেমে গ্রেপ্তার হলেন সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি অফ ইন্ডিয়ার বেশ কিছু কর্মী। পুলিশ জানিয়েছে, বিনা অনুমতিতে বিক্ষোভ দেখানোর জন্য এঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
‘Grand welcome of farmers just before Delhi-Karnal Bypass.’ 🌸
— RANA 22 (@AruArunr230) January 26, 2021
Welcoming tractors through by tossing flowers onto ground.
#KisanTractorRally pic.twitter.com/Mmp2qS4AXv
Lathicharge by delhi Police
— Rajesh GOPi (@RajeshGOPi100) January 26, 2021
Gift from modi government#KisanTractorRally @VishalLochab6 @rohini_sgh @ReallySwara @_sayema @sakshijoshii @suhasinih @NareshBassiya pic.twitter.com/mVXsZZdhqq
প্রজাতন্ত্র দিবসে ট্রাক্টর র্যালিতে অংশ নিতে রাজধানীর উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়া কৃষকদের ওপর ব্যাপক লাঠিচার্জ করলো উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। বাগপাতের কাছেই তাঁদের আটকে দিয়েছিল পুলিশ। যদিও বিক্ষোভরত কৃষকরা লাঠিচার্জ উপেক্ষা করে, ব্যারিকেড ভেঙে ট্রাক্টর নিয়ে এগিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে।
কৃষক নেতাদের অভিযোগ, পুলিশ লাঠিচার্জ করে তাঁদের আটকাতে চেষ্টা করেছিল। কিন্তু কৃষকদের সংখ্যা এতো বেশি ছিল যে পুলিশ তাঁদের আটকাতে পারেননি। বারৌট এলাকাতেও তাঁদের আটকানোর জন্য বেশ কিছু ব্যারিকেড করা ছিল কিন্তু কৃষকরা সেগুলো ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছেন।
গৌতম বুদ্ধ নগর থেকেও ব্যারিকেড ভেঙে কৃষকদের এগিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এই দুটি পয়েন্ট দিয়ে উত্তরপ্রদেশের কৃষকরা দিল্লির ট্রাক্টর র্যালিতে যোগ দেবেন।
এই মুহূর্তে আউটার রিং রোডের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে কৃষক মিছিল। উত্তর পশ্চিম দিল্লিতে কৃষকরা ব্যারিকেড ভাঙলে কৃষকদের ওপর টিয়ার গ্যাস ছোঁড়া হয় এবং লাঠি চার্জ করা হয়। এক্ষেত্রে পুলিশের অভিযোগ নির্ধারিত রুট মেনে কৃষকরা যেতে অস্বীকার করেছিলেন। যদিও কৃষকরা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। নাংলোইতে কৃষকদের ওপর টিয়ার গ্যাস চলে।
সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার পক্ষ থেকে কবিতা কুরুগান্তি জানিয়েছেন নির্ধারিত রুট মেনেই মিছিল হবে। যারা মুকারবা চক এলাকায় মিছিলের শৃঙ্খলা ভেঙেছেন তাঁদের চিহ্নিত করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, মাত্র একটি দল এই শৃঙ্খলা ভাঙলেও মূল মিছিল নির্ধারিত রুট মেনেই করা হবে।
উত্তরপ্রদেশের বাগপতে দিল্লি অভিমুখী কৃষক মিছিল আটকানোর চেষ্টা ব্যর্থ করে দিলো আন্দোলনরত কৃষকরা। এদিন তাঁদের যাত্রাপথে দিল্লি শাহজাহানপুর রোডে পুলিশ ব্যারিকেড তৈরি করলে সেই ব্যারিকেড ভেঙেই এগিয়ে যায় আন্দোলনরত কৃষকরা।
কৃষক নেতাদের অভিযোগ, বিনা প্ররোচনায় পুলিশ মিছিলের যাত্রাপথে বাধা সৃষ্টি করে। যদিও কোনো বাধাই আমাদের আটকাতে পারেনি।
এদিন উত্তরপ্রদেশের একাধিক জায়গা থেকে কৃষক মিছিল আটকানোর অভিযোগ এসেছে। গৌতম বুদ্ধ নগর, বারাউতের একাধিক জায়গায় ব্যারিকেড ভেঙে কৃষকরা দিল্লির মূল ট্র্যাক্টর প্যারেডে যোগ দিতে এগিয়ে গেছেন।
টিকরি সীমান্ত অঞ্চলে ট্র্যাক্টর প্যারেড ঘিরে কিছু বিভ্রান্ত্রির পর মিছিল শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই স্বেচ্ছাসেবকরা মিছিলে যোগদানকারী সমস্ত ট্র্যাক্টরে জাতীয় পতাকা এবং সংশ্লিষ্ট কৃষক ইউনিয়নের পতাকা লাগিয়ে দিয়েছেন।
সিঙ্ঘু সীমান্ত থেকে ঐতিহাসিক ট্র্যাক্টর প্যারেড শুরু। এই প্যারেড যাবে সঞ্জয় গান্ধী ট্রান্সপোর্ট নগর পর্যন্ত। সমস্ত ট্র্যাক্টরেই ব্যবস্থা রাখা হয়েছে খাবার ও জলের। এই প্যারেড দিল্লির মূল প্যারেডে যোগ দেবে।
কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে বেঙ্গালুরুর কে এস আর সিটি রেলওয়ে স্টেশনের বাইরে কৃষকদের প্রতিবাদ মিছিল। এদিন বেঙ্গালুরুতেও দিল্লির ট্র্যাক্টর প্যারেডের সমর্থনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ট্র্যাক্টর প্যারেড।
ভারতীয় কিষাণ একতা ইউনিয়নের নেতৃত্বে টিকরি সীমান্তে ট্র্যাক্টর প্যারেড শুরু। এই প্যারেডে নেতৃত্ব দিচ্ছেন মহিলা নেত্রী হরিন্দর বিন্দু। এই প্যারেড সরাসরি নজফগড়ে গিয়ে পৌঁছবে।
অন্যদিকে কৃষক নেতা বলবীর সিন্ধু কৃষকদের পায়ে হেঁটে ট্র্যাক্টর প্যারেডে যোগ দেবার আবেদন জানিয়েছেন। তাঁর আরও আবেদন শান্তিপূর্ণ পথে ও শৃঙ্খলাবদ্ধ ভাবে আজকের প্রতিবাদ আন্দোলনে শামিল হতে হবে।
প্রজাতন্ত্র দিবসে সকাল থেকেই হাজারে হাজারে কৃষক জমা হয়েছেন দিল্লির বিভিন্ন সীমানে। প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডের পরে দুপুর ১২টা নাগাদ ট্র্যাক্টর প্যারেডের কথা থাকলেও একাধিক জায়গা থেকে ট্র্যাক্টর মিছিল শুরুর খবর এসেছে। জানা গেছে আন্দোলনরত কৃষকরা সিঙ্ঘু সীমান্তে পুলিশের তৈরি করা ব্যারিকেড ভেঙে ফেলেছেন।
মহারাষ্ট্রের কয়েক হাজার কৃষক নাসিক থেকে মিছিল করে মুম্বাইয়ের ঐতিহাসিক আজাদ ময়দানে পৌঁছেছেন। যেখান থেকে ভারত ছাড়ো আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়েছিলো। প্রজাতন্ত্র দিবসে এখান থেকেও দাবী উঠবে তিন কৃষি আইন বাতিলের। কৃষি আইন ভারত ছাড়ো – সীতারাম ইয়েচুরি
Tens of thousands of Maharashtra kisans marched from Nashik to the historic Azad Maidan, Mumbai, from where the call of Quit India was given, on the eve of the Republic Day demanding repeal of these laws.
— Sitaram Yechury (@SitaramYechury) January 25, 2021
Farm Laws Quit India! pic.twitter.com/MGQJPifWIh
কিষাণ একতা মোর্চার সাংবাদিক সম্মেলন
প্রজাতন্ত্র দিবসে ট্র্যাক্টর প্যারেডের যাত্রাপথ
প্রজাতন্ত্র দিবসে ট্র্যাক্টর প্যারেডের সমর্থনে বেঙ্গালুরুতে ট্র্যাক্টর প্যারেডের যাত্রাপথ
ট্র্যাক্টর প্যারেডের জন্য সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার নির্দেশিকা
সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার পক্ষ থেকে প্রজাতন্ত্র দিবসের ট্র্যাক্টর র্যালির জন্য বিশেষ কিছু নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে ২৬ তারিখের ট্র্যাক্টর র্যালিতে কোনো ট্রলি ঢোকার অনুমতি দেওয়া হবেনা। শুধুমাত্র ট্র্যাক্টর এবং অন্যান্য গাড়ি ঢুকতে পারবে। ট্রলিতে বিশেষ ট্যাবলো থাকলে তাকে অনুমতি দেওয়া হবে। অন্তত ২৪ ঘণ্টার জন্য নিজের খাবার এবং জল সঙ্গে রাখতে হবে। সঙ্গে ঠান্ডা থেকে বাঁচবার জন্য পোষাক নিতে হবে। মিছিলে অংশ নেওয়া প্রতিটি ট্র্যাক্টরে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার পতাকা থাকবে। একই সাথে বাধ্যতামূলকভাবে জাতীয় পতাকা লাগাতে হবে। কোনো রাজনৈতিক দলের পতাকা লাগানো যাবেনা। নিজের সঙ্গে কোনো অস্ত্র বা লাঠি রাখা যাবেনা। ট্র্যাক্টরে কোনো প্ররোচনামূলক ব্যানার লাগানো যাবেনা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন