২০১৬ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত দেশে শিশুকন্যা ধর্ষণের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে ৯৬ শতাংশ। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এলো চাইল্ড রাইটস অ্যান্ড ইউ (CRY) নামক এক এনজিওর রিপোর্টে। এনসিআরবির ডেটাতেই ওই এনজিও-র রিপোর্ট রয়েছে।
দেশে যে শিশুকন্যারাও সুরক্ষিত নয় তা এই পরিসংখ্যান থেকেই পরিষ্কার। ২০১৬ থেকে ২০২২ পর্যন্ত শিশুকন্যাদের ধর্ষণের ঘটনা ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধুমাত্র ২০২১-২০২২ সালে দেশ জুড়ে এই ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে ৬.৯ শতাংশ।
এনসিআরবির রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে শুধুমাত্র ২০২২ সালে ৩৮,৯১১টি শিশুধর্ষণ এবং যৌন হেনস্থার ঘটনা ঘটেছিল। ২০২১ সালে ঘটেছিল ৩৬,৩৮১টি মামলা নথিভুক্ত হয়েছে। ২০২০ সালে এই ধরণের ঘটনা ঘটেছিল ৩০,৭০৫টি। ২০১৯ সালে ৩১,১৩২টি, ২০১৮ সালে ৩০,৯১৭টি, ২০১৭ সালে ২৭,৬১৬টি এবং ২০১৬ সালে ১৯,৭৬৫টি মামলা নথিভুক্ত হয়েছিল।
সূত্রের খবর, এনসিআরবির এই তথ্যের বিরোধিতা করেনি শিশু অধিকার সুরক্ষা বিষয়ক জাতীয় কমিশন। কমিশন অবশ্য দাবি করছে, আগের থেকে ব্যবস্থা আরও উন্নত হয়েছে। যার কারণে সমস্ত অভিযোগগুলি বিভিন্ন থানার কম্পিউটারে নথিভুক্ত করা হয়েছে, তাই এই ধরণের মামলার সংখ্যা বেড়েছে। কিন্তু অপরাধ দমনের জন্য কমিশন কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সেই বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।
বিরোধীরা এই রিপোর্টকে হাতিয়ার করে মোদী সরকারকে আক্রমণে করা শুরু করেছে। তাদের অভিযোগ, মোদী নিজের বক্তব্যে বার বার শিশুকন্যা নিয়ে বার্তা দেন। 'বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও' প্রকল্প নিয়েও বিভিন্ন জনসভায় বলেন। কিন্তু বাস্তবে মোদী সরকারের জমানায় কোনও কন্যা নিরাপদে নেই। দেশে ক্রমশ শিশুকন্যা ধর্ষণের ঘটনা বাড়ছে। মোদী সরকার তা রুখতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন