ভারত থেকেই সবচেয়ে বেশী সংখ্যক পড়ুয়া পাড়ি দিচ্ছেন বিদেশে। বিশেষ করে ধনী দেশগুলিতে যেমন আমেরিকা, কানাডা এবং পশ্চিম ইউরোপের দেশ কানাডাতে। সম্প্রতি ‘ওপেন ডোরস রিপোর্ট ২০২৪’ –এ এমনই তথ্য সামনে এসেছে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২২ সালে সব মিলিয়ে ৫.৬ লক্ষ ভারতীয় অর্গানাইজেশন অব ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ওইসিডি) দেশে গিয়েছেন। বিগত বছরের তুলনায় যা ৩৫ শতাংশ।
তথ্য বলছে, বিদেশে যাওয়ার নিরিখে চিনকে ছাপিয়ে গেছে ভারত। চিনের স্থান ভারতের ঠিক পরেই। ২০২২ সালে চিন থেকে ওই ওইসিডি দেশগুলোতে গিয়েছিলেন ৩.২ লক্ষ মানুষ। অন্যদিকে, ভারত থেকে নতুন করে বিদেশে যাওয়ার সংখ্যা আরও ৬.৪ শতাংশ। যেখানে চিনের ৩.৮ শতাংশ। রিপোর্ট অনুযায়ী, রাশিয়ার নাগরিকরাও পাড়ি দেন বিদেশে। সেই সংখ্যা প্রায় ২.৬ লক্ষ।
বৃহস্পতিবার প্যারিসে প্রকাশিত ইন্টারন্যাশনাল মাইগ্রেশন আউটলুক ২০২৪-এর তথ্য অনুসারে, ২০২২ সালে ইংল্যান্ডে গিয়েছিলেন ১.২ লক্ষ ভারতীয়। ২০২১ সালে তুলনায় এই সংখ্যাটা দ্বিগুণ। এদিকে ২০২২ সালে আমেরিকায় যান ১.২৫ লক্ষ ভারতীয়। যা ২০২১ সালের তুলনায় ৩৫ শতাংশ বেশী। তবে কানাডায় ভারতীয়দের যাওয়া আগের থেকে প্রায় ৮ শতাংশ কমেছে।
আর এই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের শিক্ষাবিদদের একটা বড় অংশ। তাঁদের মতে, দেশের পর্যাপ্ত গবেষণা পরিকাঠামোর অভাব, উদ্ভাবনী পরিকাঠামোয় ব্যায়ের অভাব, স্কলারশিপ, ফেলোশিপ ও স্টাইপেন্ডের অভাবে মেধাবি পড়ুয়ারা আমেরিকা, কানাডা, ইংল্যান্ডের মতো ধনী দেশে পাড়ি দিচ্ছেন। একই সঙ্গে ভারতীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে পাশ করা পড়ুয়াদের যোগ্যতার নিরিখে কমছে কর্মসংস্থানের সুযোগ। এর ফলে তাঁরা বিদেশে যেতে চাইছেন কাজের জন্য। অনেকে পড়াশোনা শেষেও বিদেশেই থাকতে চান।
তবে শুধু ভারতীয়রা নন। রাশিয়া থেকেও বিদেশে পাড়ি দেন অনেকে। মূলত তুরস্ক, ইজরায়েল এবং জার্মানিতে যাওয়ার একটা প্রবণতা আছে রুশ নাগরিকদের মধ্যে। অন্যদিকে, রোমানিয়া থেকেও প্রচুর মানুষ প্রবেশ করছে জার্মানি, স্পেন ও ইতালিতে।
তবে বর্তমানে ফের আমেরিকায় ক্ষমতা এসেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর জামানায় শক্তপোক্ত হতে চলেছে আমেরিকার ইমিগ্রেশন পলিসি। সেক্ষেত্রে ভারতীয়দের জন্য আমেরিকায় গিয়ে বসবাস করা কিছুটা কঠিন হতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন