বিশেষভাবে দুর্বল উপজাতীয় গোষ্ঠীর (PVTG) শিক্ষার্থীদের জন্য স্কুল সংযোগ প্রোগ্রাম শুরু করলো ওড়িশা সরকার। উপজাতীয় এলাকায় গিয়ে মোবাইল স্কুল ভ্যানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা দেওয়ার উদ্দেশ্যে এই উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়াদের শিক্ষা দেওয়া হবে এই প্রোগ্রামের আওতায়।
এক সরকারি আধিকারিক সংবাদসংস্থা IANS-কে জানিয়েছেন, মহামারীর কারণে শ্রেণিকক্ষের শিক্ষা অনলাইন শিক্ষাতে রূপান্তরিত হয়েছে। স্মার্টফোন বা ইন্টারনেট সংযোগের অভাবে PVTG এলাকার অধিকাংশ শিশু এই শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। মোবাইল স্কুল ভ্যানের সাহায্যে সেই শিশুদের শিখনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা হবে।
PVTG এলাকায় স্কুল ড্রপ আউটের সংখ্যাও প্রচুর। সেই সমস্যারও সমাধান হবে এতে বলে মনে করছেন ওই আধিকারিক।
SC-ST উন্নয়ন মন্ত্রী জগন্নাথ সারাকা জানিয়েছেন, PVTG সম্প্রদায়ের শিশুদের জন্য যথাযথ শিক্ষা সবসময়ই একটি চ্যালেঞ্জ ছিল। মহামারীর কারণে স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। স্কুল সংযোগ প্রোগ্রাম সেই সমস্যার সমাধান করবে। PVTG এলাকার শিশুদের শিক্ষা দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা অবলম্বন করবে এই প্রোগ্রাম।
SC ST উন্নয়ন বিভাগের প্রধান সচিব রঞ্জনা চোপড়ার কথায়, বর্তমানে শিক্ষার জরুরি অবস্থা চলছে এবং এই সময় এই উদ্ভাবনী পদ্ধতিটি খুব প্রয়োজন।
শিশুদের আকৃষ্ট করার জন্য মোবাইল স্কুল ভ্যানটিকে সুন্দরভাবে ডিজাইন করা হয়েছে। শিশুরা যাতে আনন্দের সাথে পড়া উপভোগ করে তার জন্য শিশু-বান্ধব শিক্ষার উপকরণ যেমন অডিও-ভিজ্যুয়াল সরঞ্জাম, প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক, বিজ্ঞান কিট, খেলাধুলার কিট, স্বাস্থ্যবিধি কিট ইত্যাদি দিয়ে সাজানো হয়েছে ভ্যানটিকে। খোলা জায়গায় প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবকদের উপস্থিতিতে সমগ্র বিষয়টি সঞ্চালিত হয়। প্রতিটি অধিবেশন দুই ঘন্টা ধরে হয়।
ওড়িশার মোট ১০টি জেলায় PVTG সম্প্রদায়ের প্রায় হাজারটি গ্রাম রয়েছে। এই ১০টি জেলা হলো - কেওনঝার, জাজপুর, ময়ূরভঞ্জ, গজপতি, রায়গড়, কালাহান্ডি, মলকানগিরি, কান্ধামাল এবং গঞ্জাম। প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় ৪০ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে মোট। এদের প্রত্যেকের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্য সরকারের।
- with IANS inputs
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন