স্বরাষ্ট্র বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান আনন্দ শর্মা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে একটি চিঠি লিখে ঘৃণাসূচক মন্তব্য রোধে একটি আইন প্রণয়নের আহ্বান জানিয়েছেন।
বুধবার লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে, "স্বরাষ্ট্র সচিবকে অনুরোধ করা হচ্ছে যে আইন ও সুরক্ষিত শৃঙ্খলা বলবৎ করার জন্য মুখ্যসচিব (সিএস) এবং ডিজিপিকে তাৎক্ষণিক এবং দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য অনুমতি দেওয়া হোক। এ ছাড়াও, আইপিসি এবং সিআরপিসি সংশোধন সহ সরকার একটি আইনী পদক্ষেপ বিবেচনা করা যেতে পারে।"
তিনি বলেন, ধর্ম, বর্ণ ও জাতিসত্তার মধ্যে শত্রুতা ও বৈষম্য ছড়াতে ঘৃণাসূচক মন্তব্য ব্যবহার করা হচ্ছে। চিঠিতে হরিদ্বারে সাম্প্রতিক বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের উল্লেখ করে লেখা হয়, যেখানে সুপ্রিম কোর্ট হস্তক্ষেপ করেছে এবং হস্তক্ষেপের পরে উত্তরাখণ্ড পুলিশ অভিযুক্তদের কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
সাংবাদিক কুরবান আলি এবং পাটনা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারক অঞ্জনা প্রকাশের একটি পিটিশনে ১২ জানুয়ারী সুপ্রিম কোর্ট উত্তরাখন্ড সরকারকে নোটিশ জারি করেছে। এই নোটিশে, যারা হরিদ্বারের ধর্ম সংসদে মুসলিম সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে ঘৃণাসূচক বক্তৃতা করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
গত মাসে হরিদ্বার এবং দিল্লিতে করা কথিত ঘৃণাসূচক বক্তব্যের তদন্তের জন্য একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (এসআইটি) গঠনের নির্দেশ চেয়ে তিন বিশিষ্ট প্রবীণ সেনা আধিকারিক সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছেন।
১৭ থেকে ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে হরিদ্বারে অনুষ্ঠিত ধর্ম সংসদের সময় ঘৃণাসূচক বক্তৃতা করা হয়েছিল বলে জানা গেছে৷ অনুষ্ঠানের ভিডিও ক্লিপ সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত হয়েছে। এতে বলা হয়েছে যে "হিন্দুদের উচিত মায়ানমারের মতো নিজেদেরকে সশস্ত্র করা, প্রত্যেক হিন্দুকে অবশ্যই অস্ত্র তুলে নিতে হবে এবং সাফাই অভিযান শুরু করতে হবে।"
এই ধর্ম সংসদ সংগঠিত করেছিলেন ইয়াতি নরসিংহানন্দ। যিনি একজন বিতর্কিত ধর্মীয় নেতা এবং অতীতে সহিংসতা উস্কে দেওয়ার অভিযোগে তিনি অভিযুক্ত হয়েছেন।
উত্তরাখণ্ড পুলিশ শিয়া ওয়াকফ বোর্ডের প্রাক্তন চেয়ারম্যান, যিনি সম্প্রতি হিন্দু ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছেন সেই জিতেন্দ্র নারায়ণ ত্যাগী এবং ইয়াতি নরসিমহানন্দকে গ্রেফতার করেছে।
- with inputs from IANS
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন