হরিদ্বারের ধর্ম সংসদ থেকে মুসলিম গণহত্যার ডাক দেওয়া হিন্দুত্ববাদী নেতাদের সাথে হাসিঠাট্টায় মত্ত এক পুলিশ অফিসার। বুধবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে এই দৃশ্য দেখা গিয়েছে। শুধু তাই নয় এক হিন্দুত্ববাদী নেতাকে বলতে দেখা গেছে, 'ও (পুলিশ) আমাদের পাশেই থাকবে।' এই ঘটনায় ফের বিতর্ক শুরু হয়েছে।
জানা গেছে, হরিদ্বার ধর্ম সংসদের পাঁচ আয়োজক মঙ্গলবার মুসলিম ধর্মগুরুদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করতে থানায় গিয়েছিলেন। তাঁদের অভিযোগ, মুসলিম ধর্মগুরুরা হিন্দুদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে, তাই তাদের শাস্তি পাওয়া উচিত। যদিও এফআইআর দায়ের করেনি পুলিশ। এই ভিডিও তখনই তোলা হয়েছে।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, প্রবোধানন্দ গিরি, ইয়াতি নরসিংহনন্দ, পূজা শকুন পান্ডে ওরফে সাধ্বী অন্নপূর্ণা, শঙ্করাচার্য পরিষদ নামে একটি সংগঠনের প্রধান আনন্দ স্বরূপ এবং ওয়াসিম রিজভি ওরফে জিতেন্দ্র নারায়ণের সাথে কথা বলছেন পুলিশ অফিসার রাকেশ কাথাইত। পুলিশ অফিসারের হাতে একটি কাগজ ধরা রয়েছে, যেটি অভিযোগপত্র বলে মনে করা হচ্ছে।
পূজা শকুন পুলিশ অফিসারকে উদ্দেশ্য করে বলছেন, "আপনার একটি বার্তা দেওয়া উচিত যে আপনি পক্ষপাতদুষ্ট নন। আপনি একজন পাবলিক অফিসার। সবার সাথে সমান আচরণ করা উচিত আপনার। আমরা আপনার থেকে এটাই আশা করি। আপনি সবসময় জয়ী হোন।"
এরপরই ইয়াতি নরসিংহনন্দ বলেন, "লাড়কা হামারে তরফ হোগা (ছেলে আমাদের পাশেই আছে।)" একথা শুনে উপস্থিত সকলেই হাসিতে ফেটে পড়েন। পুলিশ অফিসারও হেসে সম্মতিসূচক ভঙ্গিতে মাথা নাড়েন।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ থেকে ১৯ ডিসেম্বর হরিদ্বারে আয়োজিত ধর্ম সংসদের মুসলিমদের বিরুদ্ধে তীব্র ঘৃণাসূচক মন্তব্য করেন অনুষ্ঠানের আয়োজক তথা হিন্দুত্ববাদী নেতারা। এই ঘটনায় দেশে-বিদেশে নিন্দার ঝড় ওঠে। প্রতিবাদ জানান টেনিস কিংবদন্তি মার্টিনা নাভ্রাতিলোভা। চারদিন পরে এফাআইআর দায়ের হলেও মূল অভিযুক্তদের নাম ছিল না তাতে। এনিয়েও প্রতিবাদ শুরু হলে পূজা শকুন পান্ডে এবং ধরমদাসের নাম ঢোকানো হয় তাতে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন