অসমে সৌর প্রকল্প গড়ে তোলার জন্য আদিবাসীদের জমি বেআইনি অধিগ্রহণ : রিপোর্ট

মূলত নগাঁও জেলার সামাগুড়ি রেভেনিউ সার্কেলের মিকির বামুনি গ্রান্ট গ্রামের গরিব চাষিদের জমি জোর করে কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই চাষের জমিতে গড়ে তোলা হবে ১৫ মেগাওয়াটের সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প।
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবিছবি সৌজন্য ইস্ট মোজো
Published on

সৌর প্রকল্পের জন্য অসমের আদিবাসী কৃষকদের চাষের জমি বেআইনিভাবে দখল করা হচ্ছে ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে। মূলত নগাঁও জেলার সামাগুড়ি রেভেনিউ সার্কেলের মিকির বামুনি গ্রান্ট গ্রামের গরিব চাষিদের জমি জোর করে কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই চাষের জমিতে গড়ে তোলা হবে ১৫ মেগাওয়াটের সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প।

প্রায় ৯০ একর জমির উপর এই প্রকল্পটি গড়ে তুলতে চলেছে আজুরে পাওয়ার ফর্টি প্রাইভেট লিমিটেড। শুক্রবার দিল্লি সলিডারিটি গ্রুপের তরফে মুক্তি জুজারু ভবনে এক সাংবাদিক সম্মেলন একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে। রিপোর্টটির নাম দেওয়া হয়েছে, 'দ্য অ্যানাটমি অফ সোলার ল্যান্ড গ্র্যাব- রিপোর্ট অফ আ ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি'। এই রিপোর্টেই আদিবাসী গ্রামবাসীদের জমি অধিগ্রহণের তথ্যপ্রমাণ তুলে ধরা হয়েছে।

সত্যানুসন্ধানী সংস্থার তরফে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, এই জমি অধিগ্রহণের প্রভাব গিয়ে পড়বে কার্বি ও আদিবাসী মানুষদের উপর। মূলত চাষবাস করেই নিজেদের জীবনযাত্রা অতিবাহিত করে থাকেন এখানকার মানুষরা। এই জমি অধিগ্রহণের ফলে তাদের মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে।

রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, আজুরে পাওয়ার জেলা প্রশাসন, রাজস্ব আধিকারিক ও পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে জোর করে এই জমি অধিগ্রহণ করেছে। যা আদালতের নির্দেশ অমান্য করার সামিল। গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের করে এখানকার অসহায় আদিবাসী মানুষদের প্রতি অবিচার করা হয়েছে। স্থানীয় সংবাদপত্রগুলোতে এই অবিচারের কথা তুলে ধরা হলেও রাজ্য সরকারের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। সংস্থার রিপোর্টে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, এই বেআইনি জমি দখলদারির পিছনে রাজ্যপাল জগদীশ মুখিরও যোগাযোগ রয়েছে।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in