নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভায় ৭৮ জন মন্ত্রীর মধ্যে ৩৩ জন মন্ত্রীর বিরুদ্ধেই রয়েছে ফৌজদারি মামলা। শতাংশের হিসেবে যা ৪২ শতাংশ। এঁদের মধ্যে চারজনের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার মামলা চলছে। নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের পর এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে নির্বাচনী অধিকার সংক্রান্ত সংস্থা অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস (এডিআর)।
বুধবার মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ১৫ জন পূর্ণমন্ত্রী এবং ২৩ জন প্রতিমন্ত্রী শপথ নিয়েছেন। এর ফলে মন্ত্রিপরিষদের মোট সদস্য সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৮। এডিআরের রিপোর্ট অনুযায়ী এই ৭৮ জনের মধ্যে ৩৩ জনের নির্বাচনী হলফনামায় ফৌজদারি মামলার উল্লেখ রয়েছে।
এই ৩৩ জনের মধ্যে ২৪ জনের (৩১ শতাংশ) বিরুদ্ধে খুন, খুনের চেষ্টা, ডাকাতির মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়া কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক তাঁর হলফনামায় জানিয়েছেন খুনের (IPC - ৩০২) মামলা রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। মন্ত্রিসভার সর্বকনিষ্ঠ মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক আগে তৃণমূল কংগ্রেসে ছিলেন।
হত্যার চেষ্টারও অভিযোগ রয়েছে নিশীথ প্রামাণিকের বিরুদ্ধে। এছাড়াও আরো তিন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ রয়েছে। এঁরা হলেন - জন বার্লা, পঙ্কজ চৌধুরী এবং ভি মুরলীধরণ।
রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, নরেন্দ্র মোদী মন্ত্রিসভার ৯০ শতাংশ মন্ত্রী অর্থাৎ ৭২ জনই কোটিপতি। মন্ত্রীদের গড় সম্পত্তির পরিমাণ ১৬.২৪ কোটি টাকা।
সম্পত্তির পরিমাণ সবথেকে বেশি নতুন দায়িত্ব পাওয়া জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার। তাঁর সম্পদের পরিমাণ ৩৭৯ কোটি। এছাড়াও ৫০ কোটির বেশি সম্পত্তি রয়েছে আরো তিন মন্ত্রীর। এঁরা হলেন - পীযূষ গয়াল (৯৫ কোটি), নারায়ণ রাণে (৮৭ কোটি) এবং রাজীব চন্দ্রশেখর (৬৪ কোটি)।
সবথেকে কম সম্পদ রয়েছে ত্রিপুরার প্রতিমা ভৌমিকের (৬ লাখের বেশি)। আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বার্লার সম্পদের পরিমাণ ১৪ লাখের কিছু বেশি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন