পশ্চিমবঙ্গে মাত্র ১৩ শতাংশ গ্রামীণ পড়ুয়া অনলাইনে পড়াশোনা করতে পেয়েছে। অর্থাৎ প্রায় ৮৭ শতাংশ পড়ুয়া অনলাইনে পড়াশোনার সুযোগই পায়নি। সারা দেশে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা বিহারের (১০ শতাংশ)। তার ঠিক আগে আছে পশ্চিমবঙ্গ। এই বিষয়ে শীর্ষে কেরালা। সেখানে প্রায় ৯১ শতাংশ গ্রামীণ পড়ুয়া অনলাইন শিক্ষার সুযোগ পেয়েছে। গ্রামে শিক্ষার সর্বভারতীয় স্ট্যাটাস রিপোর্ট, ২০২১-এ এমনই তথ্য সামনে এসেছে। বুধবারই এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে।
বিশেষ করে মহামারীর সময়ে স্কুলে শিক্ষা নিয়ে এই সমীক্ষা চালানো হয়েছে। প্রত্যেক বছরই এই রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। এ-বছরের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর নাগাদ এই সমীক্ষা চালানো হয়েছে। রিপোর্টে পশ্চিমবঙ্গের এই বেহাল চিত্র প্রকাশিত হয়েছে।
এই রিপোর্ট মূলত গ্রামীণ এলাকার স্কুলের জন্য। পড়ুয়াদের বাড়িতে অন্তত একটি করে স্মার্টফোন আছে, এই হার সারা ভারতে ৬৭.৬ শতাংশ। মহামারীর কারণে দীর্ঘদিন স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় এই হার বেড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। মহামারীর সময় অভিভাবকরা চেষ্টা করেছেন ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার জন্য অন্তত একটি স্মার্টফোন জোগাড় করতে।
পশ্চিমবঙ্গে ৫৮.৪ শতাংশ ছাত্রের বাড়িতে অন্তত একটি স্মার্টফোন রয়েছে। যা সর্বভারতীয় গড় থেকে অনেকটাই কম। তারও নিচে শুধু বিহার ( ৫৪.৪শতাংশ)। শীর্ষে কেরালা (৯৭.৫%), তারপরে হিমাচল প্রদেশ (৯৫.৬%)। পাঞ্জাবে ৮৯.৯%, গুজরাটে ৮৮.৪ শতাংশ, মহারাষ্ট্রে ৮৫.৫শতাংশ ছাত্রের বাড়িতে স্মার্টফোন রয়েছে। ওডিশা, ঝাড়খণ্ড, আসামেও এই হার পশ্চিমবঙ্গের তুলনায় বেশি।
সমীক্ষায় দেখা গেছে, পড়াশোনার জন্য স্মার্টফোন ব্যবহার করতে পারেনি এই হারেও পশ্চিমবঙ্গ সামনের সারিতে। স্মার্টফোন থাকলেও রাজ্যের ৪৬ শতাংশ ছাত্র জানিয়েছে তারা পড়াশোনার জন্য আদৌ তা ব্যবহার করতে পারেনি। ৪০ শতাংশ জানিয়েছে কখনো কখনো ব্যবহার করেছে। ১২ শতাংশ জানিয়েছে তারা সব সময়ের জন্য ব্যবহার করেছে।
অন্যদিকে, আবারও শীর্ষে কেরালাই। সেখানে ৯১ শতাংশ ছাত্র অনলাইনে পড়াশোনা করেছে। কেরালার ধারেকাছে কেউই নেই। হিমাচল প্রদেশে ৭৯% এবং গুজরাটে ৬১ শতাংশ এই সুযোগ পেয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন