মহামারীতে ১১ জন কর্পোরেটের আয়বৃদ্ধি, গোটা দেশের জন্য প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিন মূল্যেরও বেশি

এদিকে কর্মহীন মানুষের সংখ্যা বেড়েছে, অন্যদিকে পুঁজিপতিদের অর্থ বৃদ্ধি হয়েছে। মুকেশ অম্বানির এক বছরে সম্পদ বেড়েছে ২ লক্ষ ২৪ হাজার ৬৮৫ কোটি টাকা।
ছবি - প্রতীকী
ছবি - প্রতীকী
Published on

মহামারীর সময় দেশে ১১ জন কোটিপতির যে পরিমাণ আয় বেড়েছে, তাতে সারা দেশের মানুষকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়া যেত। এমনটাই দাবি করা হয়েছে সমীক্ষায়। মহামারীতে লক্ষ লক্ষ মানুষের কাজ নেই। রেগা প্রকল্পে অর্থের জোগান নেই। অর্থ বরাদ্দ কমছে। অথচ এই কোটিপতিদের যে পরিমাণ অর্থ বৃদ্ধি হয়েছে, তাতে দশ বছরের রেগা প্রকল্পের অর্থ বরাদ্দ হয়ে যেত।

গত দেড় বছর ধরে কোভিড পরিস্থিতিতে লক্ষ লক্ষ মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। অন্যদিকে পুঁজিপতিরা তাদের অর্থ বৃদ্ধি করে গিয়েছে। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন অর্থনীতি বিষয়ক গবেষণা সংস্থা জানাচ্ছে, যেসব দেশে আয় বৈষম্য ক্রমশ বেড়েই চলেছে, তাদের মধ্যে অন্যতম হল ভারত। এই বৈষম্য আগে থেকে থাকলেও মহামারীতে বৈষম্য আরও প্রকট হয়েছে।

এদিকে কর্মহীন মানুষের সংখ্যা বেড়েছে, অন্যদিকে পুঁজিপতিদের অর্থ বৃদ্ধি হয়েছে। মুকেশ অম্বানির এক বছরে সম্পদ বেড়েছে ২ লক্ষ ২৪ হাজার ৬৮৫ কোটি টাকা। সাইনাস পুনাওয়ালার মহামারী সময় সম্পদ বেড়েছে ৪ হাজার ৬৮০ কোটি টাকা। আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক বিষয়ক গবেষণা সংস্থা পিইডব্লিউ জানাচ্ছে, এই মহামারিতে ভারতে কর্পোরেটদের আয় বেড়েছে বহুগুণ। সরকারি আনুকূল্য এবং শেয়ার বাজারের মূল্য বৃদ্ধিতে তাদের আর্থিক বৃদ্ধি হয়েছে।

২০২০ সালে মাত্র ১১টি কর্পোরেটের আয় বেড়ে যে পরিমাণে দাঁড়িয়েছে, তাতে গোটা দেশে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন হয়ে যায়। অক্সফামের সমীক্ষা-রিপোর্ট বলছে, এক শতাংশ পুঁজিপতির কাছে যে পরিমাণ সম্পদ হয়েছে, তা দেশের ৭০ শতাংশ অর্থাৎ ৯৫ কোটি মানুষের আয়ের চার গুণ। দেশে ৭৫ কোটি মানুষ আয় হারিয়ে কর্মহীনতায় ভুগছেন, দৈনিক আয় কমে গিয়েছে ১৫০ টাকার নীচে।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in