ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী যাতে সহজে শনাক্ত করতে না পারে, সেইজন্য সংগঠনের নাম পরিবর্তন করে ‘কমিউনিস্ট’ নাম যেমন ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ বা অনুরূপ কিছু রাখতে হবে। জম্মু-কাশ্মীরে সক্রিয় পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স (ISI) সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলিকে এমনই নির্দেশ দিয়েছে। ভারতীয় নিরপত্তা বাহিনীর সূত্রে এমটাই জানা গেছে। শুধু তাই নয়, সংগঠনের সদস্যদের কাছে তারা যেন নিজেদের ‘কমিউনিস্ট’ সংগঠন হিসাবেই পরিচয় দেয়।
আইএসআই উদ্বিগ্ন যে, জম্মু ও কাশ্মীরে কোনও সন্ত্রাসী ঘটনার পরে ভারত যথেষ্ট প্রমাণ সহ পাকিস্তানকে দায়ী করে। ফলস্বরূপ, বিশ্বের সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ বিশ্বাস করে যে পাকিস্তান তার মাটি থেকে সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করছে। পাশাপাশি, নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে সংঘর্ষের সময় কোনো ধর্মীয় স্লোগান না তোলার নির্দেশ দিয়েছে আইএসআই। ধর্মীয় স্লোগান দিলে সহজেই বোঝা যায়, তারা পাকিস্তান মদতপুষ্ট।
সূত্র অনুযায়ী, কাশ্মীরে যেসব সন্ত্রাসী সংগঠন কাজ করছে তাদের নাম জিহাদের সাথে যুক্ত অথবা তাদের নাম থেকে বোঝা যায় যে তারা ‘ইসলামিক সন্ত্রাসবাদী’। এখন তারা ‘ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট’ বা ‘পিপলস অ্যান্টি-ফ্যাসিস্ট ফ্রন্ট’ বা অনুরূপ নাম ব্যবহার করতে শুরু করেছে। যেগুলি শব্দগুলি সাধারনত অতি-বামপন্থী সংগঠনগুলি ব্যবহার করে থাকে।
পাশাপাশি, কমিউনিস্ট বা বামপন্থী নামে নতুন সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে এবং সনাক্তকরণ এড়াতে ধর্মীয় স্লোগান ব্যবহার এড়াতে বলা হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরে নিয়োজিত নিরাপত্তা কর্মকর্তারা বলেছেন যে এই নতুন কৌশলের মাধ্যমে পাকিস্তান এক ঢিলে দুটি পাখি মারতে চায়। প্রথমত, তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, গ্রেট ব্রিটেন, জার্মানি, ফ্রান্স এবং আরও অনেক দেশকে বোঝাবে যে জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের জন্য পাকিস্তান জন্য দায়ী নয়। এবং দ্বিতীয়ত, আন্তর্জাতিক নজরদারি সংস্থা ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (এফএটিএফ)-এর ‘কালো তালিকা’র অন্তর্ভুক্তি এড়ানো যাবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন