দিল্লিতে ইজরায়েলী দূতাবাসের সামনে ঘটা বিস্ফোরণ ট্রেলার মাত্র। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া চিঠিতে এমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে। পুলিশ ও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলো মনে করছে, এই ঘটনা অনেক বড় মাপের কোনও ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত। বিস্ফোরণস্থলের কয়েক হাত দূরেই একটি ক্যামেরা, আধপোড়া লাল রঙের স্কার্ফ ও একটি চিঠি উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। চিঠিটি ভারতে নিযুক্ত ইজরায়েলের রাষ্ট্রদূতের উদ্দেশে লেখা হয়েছিলও বলে খবর।
সিআইএসএফ-এর তরফে সমস্ত বিমানবন্দর, গুরুত্বপূর্ণ জায়গা এবং সরকারি অফিসে কড়া নিরাপত্তার নজরদারি রাখা হয়েছে। পাশাপাশি, মুম্বইয়ের ইজরায়েলী দূতাবাসেও নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনাস্থলে ফরেনসিক তদন্তের পর উঠে এসেছে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। বিস্ফোরণে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ব্যবহার করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, আইইডি-তে আরডিএক্স থাকলে বিস্ফোরণে আরও বেশি ক্ষতি হতে পারতো। স্প্লিন্টার হিসেবে বোমাটিতে ছিল বল বিয়ারিং। জিন্দাল হাউসের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে ট্যাক্সিতে আসা দুই সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। তাদের খোঁজে ট্যাক্সিচালককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এই বিস্ফোরণ আসলে বড় কোন নাশকতার ট্রেলার মাত্র বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা।
বিস্ফোরণের পর ভারতে নিযুক্ত ইজরায়েলের রাষ্ট্রদূত রন মালকা জানিয়েছেন দূতাবাসের সমস্ত কর্মীরা সুরক্ষিত আছেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো নড়েচড়ে বসেছে নিরাপত্তা সংস্থাগুলো।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন