লাক্ষাদ্বীপের প্রশাসক প্রফুল্ল প্যাটেলকে অবিলম্বে অপসারণ করার দাবি তুললো কংগ্রেস। কংগ্রেসের অভিযোগ, প্রফুল্ল প্যাটেল কেবল এই শান্ত দ্বীপটির শান্তি ও সংস্কৃতিই নষ্ট করছেন এমনটা নয়, খামখেয়ালী বিধিনিষেধ জারি করে জনগণকে হয়রানিও করছেন তিনি।
কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অজয় মাকেনের অভিযোগ, প্রফুল্ল প্যাটেল একজন রাজনীতিবিদ এবং তিনি লাক্ষাদ্বীপে বিজেপির রাজনৈতিক এজেন্ডা পালন করছেন। স্থানীয়দের হয়রানির লক্ষ্যে প্রিভেনশন অব অ্যান্টি সোশ্যাল অ্যাক্টিভিটি (PASA) আইন এনেছে প্রশাসন।
এক অনলাইন প্রেস কনফারেন্সে অজয় মাকেন বলেন, "লাক্ষাদ্বীপের প্রশাসককে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সরাসরি নিয়োগ করেছেন কারণ উনি গুজরাটের বাসিন্দা এবং রাজ্যের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সাধারণ নিয়ম অনুসারে দায়িত্বশীল বা অবসরপ্রাপ্ত কোনো আমলাকে এই পদে নিয়োগ করা হয়, কিন্তু এই প্রথম কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিকে নিয়োগ করা হয়েছে।"
তাঁর অভিযোগ, নতুন প্রশাসক পঞ্চায়েতের ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছেন। দ্বীপে মদের অনুমতি দিয়েছেন। নতুন আইন প্রণয়ন করে মাছ ধরার কাজে নিযুক্ত স্থানীয়দের বাড়িঘর ভেঙে দিচ্ছেন। দ্বীপের অধিবাসীদের জমির অধিকার কেড়ে নিচ্ছেন।
তিনি বলেন, "প্রফুল্ল প্যাটেল লাক্ষাদ্বীপে বিজেপির রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করছেন। তিনি দ্বীপের বাসিন্দাদের অনুভূতিতে আঘাত হানছেন এবং এলাকার শান্তি ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে বিঘ্নিত করছেন। তাই অবিলম্বে তাঁকে সরানো উচিত।"
PASA আইন এবং লাক্ষাদ্বীপ ডেভেলপমেন্ট অথরিটি রেগুলেশন, ২০২১ প্রত্যাহারের দাবিও তুলেছেন তিনি।
অপর এক কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি বেনুগোপাল লাক্ষাদ্বীপের প্রশাসকের দ্রুত অপসারণের দাবিতে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে চিঠি লিখেছেন। কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধীও লাক্ষাদ্বীপের বাসিন্দাদের সমর্থন জানিয়েছেন। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় #SaveLakshadweep প্রচার শুরু হয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন