আগের মদের দোকান ছিল ১৫৩টি। গত ১০ বছরে বেড়েছে ৮০টি। এই পরিসংখ্যান সিঙ্গুর আবগারি জেলার। সেখানে রাজ্য সরকারের এক নতুন নির্দেশ পৌঁছেছে। নির্দেশ হল, মদের জোগান অন্তত ২৫ শতাংশ বাড়াতে হবে। উৎসবের মরসুমে যেন কোনওভাবেই মদের ঘাটতি না হয়। আর যদি হয়ে থাকে, তাহলে শোকজ করা হবে।
আবগারি জেলার এক আধিকারিক জানান, এই নির্দেশ শুধু সিঙ্গুর নয়, রাজ্যের অন্য জেলাতেও। তবে কলকাতা, বিধাননগর-সহ কয়েকটি এলাকায় সমস্যা হয় না বা হবেও না। কিন্তু এবার যা পরিস্থিতি তাতে সিঙ্গুর, বলাগড়, পোলবা, দাদপুর, ধনেখালি, মগরার মতো এলাকায় মানুষ বেশি মদ খাবেন, মদ কিনবেন- বিষয়টা এত সহজ না। মানুষের হাতে টাকা কই?
রাজ্যের আবগারি দফতরের নির্দেশ, প্রথমত - মদ মজুত নিশ্চিত করতে হবে। দ্বিতীয়ত - জনপ্রিয় ব্যান্ডের সহজলভ্যতা যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। তৃতীয়ত - উৎসবের মরসুমে প্রতি মাসে বিক্রি ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি নিশ্চিত করতে হবে। এসব সম্পন্ন করতে না পারলে আধিকারিকদের ডেকে পাঠানো হবে বলে নির্দেশ এসেছে।
এক সময় বামফ্রন্ট সরকারের বিরুদ্ধে 'মদের বন্যা'র অভিযোগ তুলেছিলেন তৎকালীন বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন সেই ওয়াইন শপই রাজ্য সরকারের আয় বাড়াতে সাহায্য করছে। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে রাজ্য এই বাবদ ১২ হাজার কোটি টাকা আয় করেছে। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে লক্ষ্য ১৬ হাজার ১০০ কোটি টাকা আয় করা। শেষ আর্থিক বর্ষে আবগারি ক্ষেত্রে আয় ছিল ১৭৮৩ কোটি ৩৪ লক্ষ টাকা। লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৭৬০ কোটি টাকা। শেষ ১০ বছরে মদ থেকে রাজ্যের আয় বেড়েছে ৫৭০ শতাংশ।
সম্প্রতি আইসিআরআইইআর প্রকাশিত রিপোর্টে জানা যাচ্ছে, মদ বিক্রির বিচারে পশ্চিমবঙ্গ দ্বিতীয় স্থানে আছে দেশের মধ্যে। রাজ্যের প্রায় ১ কোটি ৪০ লক্ষ মানুষ মদ কেনেন। শীর্ষে উত্তরপ্রদেশ। সেখানে প্রায় চার কোটি কুড়ি লক্ষ মানুষ মদ কেনেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন