২০২৩ সাল প্রযুক্তি কর্মীদের জন্য সবচেয়ে খারাপ বছর হতে চলেছে। নতুন বছরের প্রথম দু’মাসে এখনও পর্যন্ত ৪১৭টি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা বিশ্বব্যাপী ১.২ লাখেরও বেশি কর্মী ছাঁটাই করেছে৷
তুলনামূলকভাবে, ২০২২ সালে বিগ টেক থেকে স্টার্টআপ পর্যন্ত ১,০৪৬টি তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানি মোট ১.৬১ লাখেরও বেশি কর্মী ছাঁটাই করেছে। Layoffs.fyi থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
শুধুমাত্র জানুয়ারীতেই, অ্যামাজন, মাইক্রোসফ্ট, গুগল, সেলসফোর্স এবং অন্যান্য সংস্থাগুলি থেকে বিশ্বজুড়ে প্রায় ১ লক্ষ প্রযুক্তি কর্মী ছাঁটাই হয়েছেন।
২০২২ সাল থেকে শুরু করে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত মোট প্রায় ৩ লক্ষ তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী এখনও পর্যন্ত চাকরি হারিয়েছেন। প্রতিদিনই এই সংখ্যা বাড়ছে।
জানা যাচ্ছে, আরও বেশি সংখ্যক বিগ টেক কোম্পানি কর্মী ছাঁটাই করার পথে। সংস্থাগুলির পক্ষ থেকে এই পদক্ষেপের পিছনে বিভিন্ন কারণ তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। যার মধ্যে আছে অতিরিক্ত নিয়োগ, বিশ্বজুড়ে অনিশ্চিত অর্থনৈতিক অবস্থা, কোভিড-১৯ মহামারী এবং আরও অনেক কিছু।
রিপোর্ট অনুসারে, মেটা (পূর্বে Facebook) আরও একবার বড়োসড়ো ছাঁটাইয়ের পথে। গত বছরের নভেম্বরে পারফরম্যান্স বোনাস পরিশোধ করার পর মাসের প্রথম দিকে এই বিষয়ে ঘোষণা করা হয়েছিল।
মেটা কোম্পানি আরও ছাঁটাইয়ের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। ইতিমধ্যেই কর্মক্ষমতা পর্যালোচনার সর্বশেষ রাউন্ডে কয়েক হাজার কর্মচারীকে "সাবপার রেটিং" দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
বিশ্বজুড়ে বর্তমান টালমাটাল অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে খরচ কমাতে সুইডিশ টেলিকম গিয়ার-নির্মাতা এরিকসন তার কর্মশক্তির প্রায় ৮ শতাংশ, প্রায় ৮,৫০০ কর্মী ছাঁটাই করছে।
গ্লোবাল কনসালটিং ফার্ম ম্যাককিনসে অ্যান্ড কো সর্ববৃহৎ ছাঁটাইয়ের মধ্যে প্রায় ২,০০০ কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা নিয়েছে।
আরেকটি প্রধান পরামর্শদাতা সংস্থা কেপিএমজি তার কর্মীবাহিনীর ২ শতাংশ ছাঁটাই করতে চলেছে। যার ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৭০০ কর্মচারীকে প্রভাবিত করবে। সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, "ব্যবসায় তীব্র মন্দার কারণে" এই ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ক্লাউড পরিকাঠামো প্রদানকারী সংস্থা ডিজিটালওশান তার কর্মশক্তির প্রায় ১১ শতাংশ বা প্রায় ২০০ কর্মী ছাঁটাই করেছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন